ওয়াশিংটন, 4 জানুয়ারি: দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার আগে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ৷ হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, দু'দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন সুলিভান ৷ 5 ও 6 জানুয়ারি ভারতেই থাকবেন তিনি ৷ বৈঠক করবেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে ৷
আগামী 20 জানুয়ারি দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তাঁর সঙ্গে দেশের নয়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেবেন কংগ্রেস সদস্য মাইকেল ওয়াল্টজ ৷ সুতরাং, মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে সুলিভানের এটি শেষ ভারত সফর ৷ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি এই সফরে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে দিল্লির আইআইটি-তে বক্তব্য রাখবেন তিনি ৷
উল্লেখ্য়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারে 2021 সালের 20 জানুয়ারি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন জেক সুল্লিভান ৷ সফর প্রসঙ্গে মার্কিন এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে ৷ পাশাপাশি, এই সফরে প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ বিজ্ঞানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করবেন সুলিভান ও অজিত দোভাল ৷
শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কনফারেন্স কলে শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "গত 4 বছরে দুই দেশের সম্পর্ক অনেক বেশি উন্নত হয়েছে ৷ আগামী দিনে এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ পরবর্তী সরকারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে এই আলোচনা ৷"
সম্প্রতি, মার্কিন সফরে আমেরিকার পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক সারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্য়ে ৷ বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, ওয়াল্টজের সঙ্গে কাজ করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন ৷ ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক কোন পথে যাবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয় ৷
অবশ্য, ওয়াল্টজের সঙ্গে দেখা করার আগেই সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক সারেন জয়শঙ্কর ৷ সেই বৈঠকেও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় ৷ এস জয়শঙ্করের মার্কিন সফরের পর জেক সুলিভানের ভারত সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল ৷