জলপাইগুড়ি, 4 জানুয়ারি: পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে রেল রোকো আন্দোলনের জেরে রেলের বিশাল অংকের ক্ষতি ! আর তার জেরে এবার বিপাকে গ্রেটার কোচবিহারে আন্দোলনের নেতারা ৷ অবরোধের ফলে 5 কোটি 61 লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে ৷ সেই ইস্যুতে এবার ক্ষতিপূরণের চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের ৷
এ নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল শর্মা অভিযোগ করেন, "গত 11 ডিসেম্বর জোরাই স্টেশনে রেল রোকোর কারণে বাতিল হয়েছিল একাধিক ট্রেন ৷ অনেক এক্সপ্রেস ট্রেন ঘুরপথে চালানো হয় ৷ অবরোধের ফলে ট্রেনের পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে ৷ যাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ৷ স্টেশনে অবৈধ জমায়েত করে লোকজন ৷ রেলের সুরক্ষা বিপন্ন হয় ৷...কর্তব্যরত আরপিএফ, জিআরপি ও স্থানীয় পুলিশ অফিসাররা আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলতে অনুরোধ করলেও তাঁরা শোনেননি ৷"
মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের অভিযোগ, "বলপূর্বক রেল অবরোধের ফলে রেলের আনুমানিক 5.61 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে, গ্রেটার নেতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ আগামীতে তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে রেলের কোনও যোগাযোগ নেই ৷ আন্দোলনের ফলে রেলের সুরক্ষা ও আর্থিক ক্ষতিকে কর্তৃপক্ষ বরদাস্ত করবে না ৷"
উল্লেখ্য, গত 11 ডিসেম্বর জোরাই স্টেশনে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন পৃথক কোচবিহার রাজ্য-সহ একাধিক দাবিতে রেল রোকো কর্মসূচি পালন করে ৷ রেল অবরোধের জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাংশে রেল যোগাযোগ স্তব্ধ হয় যায় ৷ রেলের তরফে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করা হয় ৷ জোরাই স্টেশনে প্রায় পাঁচ হাজার গ্রেটার সমর্থকরা রেললাইনে বসে পড়েন ৷
যদিও, রেলের এই নোটিশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বংশীবদন বর্মন ৷ তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সমর্থকরা রেল অবরোধ করেছিলেন ৷ সংবিধান অনুযায়ী কোচবিহার 'গ' ক্যাটাগরির রাজ্য ৷ কিন্তু, কেন্দ্র এখনও তাতে মান্যতা দিচ্ছে না ৷ আমরা পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি ও রাজবংশী ভাষাকে অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করেছি ৷ আইনি নোটিশ পেলে তার জবাব দেব ৷"