কলকাতা, 14 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে যখন তোলপাড় দেশ, সমাজ, সোশাল মিডিয়া তখন শহরের বুকে বসে চুপ রাজনীতির প্রথম সারির মহিলা নেত্রীরা ৷ সোশাল মিডিয়ায় যাঁদেরকে 'লাপাতা লেডিস' বলে কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা ৷ তালিকায় নাম জুড়েছে শতাব্দী রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ এঁরা প্রত্যেকেই ভোটে জিতে সমাজের-মানুষের সেবায় নিয়োজিত ৷ কিন্তু বাংলার মেয়ের উপর যে পাশবিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করতে দেখা যায়নি এখনও ৷ এমতাবস্থায় সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষের তালিকায় ছিলেন জুন মালিয়া ও সায়নী ঘোষও ৷ তবে তাঁদেরও প্রতিবাদী পোস্ট আসে সোশাল মিডিয়ায় ৷
টুইটে প্রতিবাদ জানান সাংসদ জুন মালিয়া। এরপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ইটিভি ভারত। তিনি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। অপরাধীকে ধরার জন্য সিবিআই তদন্তের কথা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন। সিবিআই তদন্ত চলবে ৷ প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক কঠিন থেকে কঠিনতম। এটাই চাই।"
তিনি আরও বলেন, "রাতের প্রতিবাদে যেন কোনও রাজনৈতিক রং না থাকে ৷ তাহলেই এটাকে মুভমেন্ট বলব। নচেৎ নয়। গতবছর স্বপ্নদীপকে নিয়েও এভাবে গর্জে উঠেছিল বাংলা। আবার ভুলেও গিয়েছে মানুষ তাঁকে। আমার মনে হয় আপনারা সংবাদ মাধ্যমও ভুলে গিয়েছেন স্বপ্নদীপকে। আরজি করের এই মেয়েটিকে যেন দু'দিন পরে কেউ ভুলে না যায়। ভুলে না গেলে এটাকে আন্দোলন বলব।"
এই প্রসঙ্গে জুন মালিয়া বিলকিস বানোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট 11 জন দোষীকে 2 সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে, তিন দোষী আত্মসমর্পণের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানায়, যা খারিজ করে শীর্ষ আদালত।"
মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংসদ সায়নী ঘোষ। তাঁর কথায়, "আরজি কর ট্র্যাজেডি মর্মান্তিক। যেই তদন্ত করুক না কেন, এই জঘন্য কাজের পিছনে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।" এই ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেত্রী হিসাবে রচনা, সায়ন্তিকা, শতাব্দীর পোস্ট এখনও পর্যন্ত নজরে আসেনি ৷ যদিও বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিমিত্রা পল প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ৷