নদিয়া, 7 জানুয়ারি: ডায়াবেটিসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে পিকনিক করে মহাভোজ দিলেন গৃহশিক্ষক নিতাই প্রামাণিক। বছর যখন 24 তখনই সুগার ধরা পড়েছে। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের উপর থাকতে হয় তাঁকে। মন চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। প্রায় 50 বছর ধরে এই মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহশিক্ষক নিতাই প্রামাণিক। আর তাই তাঁর ইচ্ছা, নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্যদের বছরের শুরুতেই পাত পেড়ে খাওয়াবেন তিনি ৷
ডায়াবেটিসের 50 বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরের প্রথমে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী-সহ অনান্যদের ভূরিভোজ করালেন নিজের বাড়িতে ডেকেই। শুধু এলাকার লোকই নয় দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এলেন গৃহ শিক্ষকের পিকনিকে। নদিয়ার পলাশীপাড়ার পেশায় গৃহশিক্ষক নিতাইবাবু অবিবাহিত। প্রত্যেক সময় চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তিনি চলেন। আর এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ তিনি।
আর সেই ইচ্ছেতেই সোমবার এমন আয়োজন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নন, অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কবজি ডুবিয়ে খেলেন নিতাইবাবুর পিকনিকে। অন্যান্য ডায়াবেটিস রোগীদের নিতাই প্রামাণিকের বার্তা, "চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একদিকে যেমন খাওয়া-দাওয়ায় রাস টানতে হবে তেমনই প্রাতভ্রমণ থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত করলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা যাবে।"
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি এমন বার্তা দিতেই তাঁর এমন অভিনব উদ্যোগ বলেও জানান তিনি। গৃহশিক্ষকের আয়োজন করা পিকনিকের মেনুতে ছিল সাদা ভাত থেকে শুরু করে চিকেন কষা, মাছের ঝোল, চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টি। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান নিমন্ত্রিত মানুষজন ৷