মালদা, 8 জানুয়ারি: বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের জেলায় উদ্ধার হল বিপুল অংকের জাল নোট ৷ মঙ্গলবার রাতে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের কুম্ভীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসালপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে 20 লাখ টাকার জাল নোট ৷ যদিও কে বা কারা এই জাল নোট মজুত করেছিল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ ৷ ফলে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ তবে কারবারিদের চিহ্নিত করতে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত ৷
মঙ্গলবার রাতে কুম্ভীরা পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের কাছে খবর আসে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া খোসালপাড়া গ্রামের দুষ্কৃতী রুবেল শেখের (বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে) বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় বিপুল পরিমাণে জাল নোট মজুত করা হয়েছে ৷
পুলিশ আরও জানতে পারে যে পাচারকারীরা এই নোট যেকোনও সময় দেশের কোনও জায়গায় পাচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ সেই খবর পেতেই কুম্ভীরা ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালান ৷ একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় 20 লাখ টাকার জাল নোট ৷ উদ্ধার হওয়া নোটগুলির মধ্যে 500 টাকার জাল নোট রয়েছে 3800টি ৷ বাকি 500টি 200 টাকার জাল নোট ৷
এই ঘটনায় পুলিশকে চমকে দিয়েছে 200 টাকার জাল নোটের গুণমান ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী বলেন, “এর আগে 200 টাকার জাল নোট উদ্ধারের উদাহরণ বেশি নেই ৷ আগে যে নোটগুলি উদ্ধার করা গিয়েছিল, তার গুণমান খুব একটা ভালো ছিল না ৷ কিন্তু এবার যে নোট উদ্ধার হয়েছে, খুব খুঁটিয়ে না দেখলে সেসব যে জাল, তা বোঝার সাধ্য কারও নেই ৷ 500 টাকার জাল নোটগুলিও একেবারে আসলের মতো ৷ এসব নোট তৈরিতে যে কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে, তার গুণমানও খুব উন্নত ৷ এই নোট নিয়ে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক ৷”
এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়সাল রেজা বলেন, “গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে 20 লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া নোটগুলি 500 ও 200 টাকার ৷ তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ কে বা কারা এই বিপুল পরিমাণ জাল নোট মজুত করেছিল, তাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে ৷”