হায়দরাবাদ, 5 সেপ্টেম্বর: রাজ্য চারু কলা পর্ষদের সদস্যপদ ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট শিল্পী সনাতন দিন্ডা ৷ সোশাল মিডিয়ায় আরজি করে মৃত ডাক্তারি পড়ুয়াকে 'বোন' বলে সম্বোধন করেন তিনি ৷ তাঁর মৃত্যুর ন্যায়বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার বড় সিদ্ধান্ত নেন শিল্পী ৷
তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, " আমি সনাতন দিন্ডা । পিতা স্বর্গত শ্রী রতিকান্ত দিন্ডা , মাতা স্বর্গত শ্রীমতি পারুল দিন্ডা, বোন নিহত ‘ তিলোত্তমা’দিন্ডা । আদি নীবাস ‘কুমারটুলী’ আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন প.ব। দীর্ঘ দিন ‘রাজ্য চারু কলা পর্ষদের ‘কার্যকারী সদস্য ছিলাম । দীর্ঘ অনুপস্থিত এবং আমার কোনও ভূমিকা সেখানে ছিল না । তার পরও এখানকার সদস্য পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম ৷"
এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ইটিভি ভারত ৷ তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয় ৷ এর আগেও নিয়েছিলাম ৷ লিখিতভাবে দিয়েছিলাম ৷ সেটা গৃহীত হয়নি ৷ এখন আমার মনে হয়েছে কারোর অনুমতি বা পারমিশনের দরকার নেই ৷ আমি একজন সাধারণ নাগরিক ৷ স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে ৷ আমার মনে হয়েছে এখন যদি এই সিদ্ধান্ত না নিই তাহলে বড় অন্যায় হয়ে যাবে ৷ চারু কলায় অনেক গন্যমান্য, প্রথিতযশা ব্যক্তিরা রয়েছেন ৷ তাঁরা কিন্তু নীরব ৷ তাঁরা নীরব থাকতেই পারেন ৷কিন্তু আজকে আমার বোনের সঙ্গে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে আমি তার ন্যায়বিচার চাইব ৷"
তিনি আরও বলেন, "সেই জন্য নির্যাতিতার পরিচয় রক্তে মিশিয়ে নিলাম ৷ তাঁকে বোন বললাম ৷ কারণ আমরা জানি যতক্ষণ না নিজের গায়ে আঁচ লাগছে ততক্ষণ প্রতিবাদে নামা হবে না ৷ এই দ্বিচারিতা খুব মুশকিল ৷ বাংলার বাইরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে এত মানুষ রাস্তায় নেমেছেন ৷ সেখানে আমার মনে হয়েছে তাঁদের পাশে থাকা উচিত ৷ যাঁরা নীরব থাকতে ভালোবাসেন, যাঁরা বড় মঞ্চ চায়, যাঁরা বড় মঞ্চ না পেলে আসতে চান না তাঁরা থাকুক ওখানে ৷ শিল্বী হিসাবে তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ৷ কিন্তু আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে, শিল্পী হিসাবে আমি চাইছি না তাঁদের পাশে থাকতে৷"