পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / entertainment

বৌদির ভাইয়ের সঙ্গে প্রেম! প্রথম দেখাতেই পঙ্কজকে মনে ধরেছিল কিশোরী মৃদুলার

পঙ্কজের সঙ্গে 31 বছরের প্রেমজীবন ৷ দাদার বিয়েতে একাদশ শ্রেণীতে পড়া পঙ্কজকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ হয়েছিল নবম শ্রেণীর পড়ুয়া মৃদুলার ৷

Etv Bharat
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে স্ত্রী মৃদুলা (আইএএনএস/সোশাল মিডিয়া)

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : 4 hours ago

মুম্বই, 25 অক্টোবর: পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক দেখলে তিনি বৌদির ভাই হন ৷ কিন্তু প্রথম দেখাতেই যাঁকে দেখে মনে ভালোবাসা আলোড়ন তুলেছিল, তাঁকে ভাই বলবেন কী করে? 31 বছর আগে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কীভাবে শুরু হয়েছিল প্রেমের কাহিনী, স্মৃতিচারণা স্ত্রী মৃদুলার ৷

রূপোলি পর্দায় কখনও 'কালিন ভাইয়া' আবার কখনও 'সত্তু' হয়ে যতই ভায়োলেন্স দেখান না কেন মনের দিক থেকে ভীষণই নাকি রোমান্টিক অভিনেতা পঙ্কজ ৷ রুমাল দেওয়ার নাম করে কীভাবে প্রেমিকা তথা বর্তমান স্ত্রীর হাতের একটু ছোঁয়া নিতে চাইতেন, সেই স্মৃতি আজও হাসায় মৃদুলাকে ৷ প্রেমের শুরু থেকে বিয়ের পিঁড়ি, স্কুলজীবনের সেই চেনা-জানা কীভাবে ভালোবাসায় পরিণত হল জানালেন মৃদুলা ৷

এক সাক্ষাৎকারে অতুল তাইশেতে মৃদুলা ফিরে যান তাঁর প্রেমজীবনের স্মৃতিতে ৷ তিনি জানান, 1993 সালে তিনি প্রথমবার পঙ্কজের ছবি দেখেন ৷ তারপর সামনাসামনি দেখা হয় ৷ সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের লাভস্টোরি ৷ 2004 সালে সেই প্রেম পায় পরিণতি ৷

ছবির দেখেই ভালোলাগার অনুভূতি...

তিনি বলেন, "1993 সালের 23 মে পঙ্কজের সঙ্গে আমার মুখোমুখি প্রথম দেখা হয় ৷ তারআগে আমি ওর ছবি দেখেছি আমার দাদার বিয়ের সময়ে ৷ সেই সময়ে একটি মেয়ের ছবি আমাদের কাছে আসে ৷ সেখানে মেয়েটির সঙ্গে পঙ্কজ ও তাঁর ভাইয়ের ছবি ছিল ৷ সঙ্গে বাবা-মায়ের ছবিও ছিল ৷ সেই ছবি যখন আমি দেখি, তখন আমার ক্লাস নাইন আর পঙ্কজ পড়ে একাদশ শ্রেণীতে ৷" মৃদুলা জানান, সেই ছবি তিনি নাকি স্কুলে বন্ধুদেরকে দেখিয়েছিলেন ৷

মৃদুলা বলেন, "বন্ধুরা আমার দাদার হবু স্ত্রীর ছবি দেখেন ৷ এরপর তাঁরা ছবিতে দুইভাইয়ের ছবিও দেখেন ওই ফ্রেমে ৷ তার মধ্যে বড় ভাইয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছিল ৷ তাঁর সন্তানও ছিল ৷ ফলে ছোটভাইকে ছবিতে দেখে বন্ধুরা সেই সময় আমাকে বলেছিল আমার সঙ্গে নাকি তাঁকে (পঙ্কজ) ভালো মানাবে ৷"

প্রথম দেখা...

ছবির বাইরে বেরিয়ে পঙ্কজের সঙ্গে মৃদুলার প্রথম দেখা হয় তাঁর দাদার তিলক সেরেমনিতে ৷ তিনি বলেন, "তিলক সেরেমনির দিন আমরা একে অপরকে বারবার দেখছিলাম ৷ আমি এখনও পঙ্কজকে বলি, আমি তাঁকে যখন প্রথম দেখেছিলাম তখন তাঁর সবেমাত্র হালক হালকা দাঁড়ি বেরোচ্ছিল ৷ আর এখন তাঁকে মোটা চশমা চোখে দেখি ৷ সত্যিই এক দীর্ঘ জার্নি আমাদের ৷"

পঙ্কজ-মৃদুলার প্রেম আর একটা রুমাল...

কীভাবে শুরু হল প্রেমের কাহিনী ? কে কাকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন? মৃদুলা বলেন, "আসলে প্রথম দেখাতেই আমাদের একে অপরকে ভালো লেগেছিল ৷ এরপরেই নানা অজুহাতে আমরা নানা সময়ে দেখা করা শুরু করি ৷" এই সাক্ষাৎকারে কথা বলতে বলতে পঙ্কজের স্ত্রী জানান, তাঁদের প্রেমের কাহিনীতে রুমাল একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে ৷ মৃদুলা বলেন, "পঙ্কজের স্বভাব ছিল হাত ধুলেই রুমাল চাইত ৷ আমি ওর হাত মোছার জন্য রুমাল দিতাম ৷ তা ধরার বাহানায় অনেকবার পঙ্কজের হাতের ছোঁয়া পেতাম ৷ সেই সময় যেন মনে প্রজাপতি উড়ত ৷"

ভাইয়া নয় সাইয়া...

মৃদুলা বলেন, "আমার বৌদির ভাই পঙ্কজ ৷ আবার আমার থেকে বয়সে দু'বছরের বড় ৷ তাই আমার মা তাঁকে আপনি বলে সম্বোধন করতে বলতেন ৷ শুধু তাই নয় পঙ্কজকে দাদা বলেও সম্বোধন করায় জোর দিতেন ৷ তখন মনের মধ্যে হাজারো দ্বন্দ্ব চলত আমার ৷ আমি কী করে পঙ্কজকে ভাই বলতে পারি ৷ তারপর বুদ্ধি করে ওকে পঙ্কজজি বলা শুরু করলাম ৷" বর্তমানে নামের সঙ্গে সেই 'জি' এখন উঠে গিয়েছে ৷ ভালোবেসে পঙ্কজকে মৃদুলা এখন ডাকেন শুধু 'পতি' বলেই ৷

অভিনেতার স্ত্রী বলেন, "এখন আমি পঙ্কজকে পতি বলেই ডাকি ৷ ও যখন বছরে বা ছয়মাস অন্তর একবার কলকাতায় আসে তখন আমার পা ছোঁয় ৷ ও ভীষণ দুষ্টু ৷ 1993 সালে একটা ছোট্ট প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল ৷ সেই সম্পর্ক পরিণতি পায় 2004 সালে বিয়ের পর ৷ এখন আমাদের এক মেয়ে রয়েছে নাম আশি ত্রিপাঠী ৷"

প্রেম প্রস্তাব...

ফর্মালি পঙ্কজ-মৃদুলা একে অপরকে কখনও ভালোবাসার প্রস্তাব দেননি ৷ তবে পঙ্কজ যখন নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়তে গিয়েছিলেন তখন একটা প্রেমপত্র লিখেছিলেন মৃদুলা ৷ ব্যস ৷ তারপর মুখে প্রেম-ভালোবাসার প্রস্তবা না দিয়েই বিয়ের পর 20টা বছর এক ছাদের তলায় কাটিয়ে দিলেন পঙ্কজ-মৃদুলা ত্রিপাঠী ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details