মালদা, 25 অক্টোবর: আর কিছুদিন পর থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করবে ৷ তার আগে রাসায়নিকের ব্যবহার কমিয়ে আমের গুণগত মান ও ফলন বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও আইসিএআর-সিআইএসএইচ ৷ পাশাপাশি রফতানির চেন তৈরি করে আরও বেশি পরিমাণে আম ইউরোপ ও আমেরিকায় রফতানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷ এই কাজ শুরু করেছেন দুই সংস্থার আধিকারিকরা ৷
শুক্রবার দুপুরে ইংরেজবাজারের মাধবনগরে অবস্থিত আইসিএআর-সিআইএসএইচ সংগঠনের শাখায় এ নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন লখনউ আইসিএআর-সিআইএসএইচের ডিরেক্টর টি দামোদরণ ৷ ছিলেন আইসিএআর-সিআইএসএইচ মালদা শাখার বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডি কে রাঘব, জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক-সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং আম চাষিরা ৷ এ দিনের কর্মশালায় আমের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল ও সবজির গুণগত মান বাড়াতে চাষিরা কী কী করতে পারেন, তা আলোচনা করেন আধিকারিকরা ৷
লখনউ আইসিএআর-সিআইএসএইচের ডিরেক্টর টি দামোদরণ বলেন, "ফলের গুণগত মান ও ফলন বাড়াতে আমরা কাজ করছি ৷ মালদাতেও আমাদের সংগঠনের একটি শাখা রয়েছে ৷ এই সংগঠনের শাখা ও কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা চাষিদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই আমের ফলনে ক্ষতি হয় ৷ কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা জানাতে আজ চাষিদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল ৷"
তিনি আরও বলেন, "চাষের ক্ষেত্রে কী কী উপায় অবলম্বন করা যায়, তা আমরা চাষিদের জানিয়েছি ৷ আমের গুণগতমান বাড়াতে ও বেশি ফলনের জন্য আমরা সাতবারের বদলে দু’বার স্প্রে করে আমকে সুরক্ষিত রাখার পদ্ধতি বের করেছি ৷ সেসব নিয়েও কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে ৷ রাসায়নিক সার ছাড়া আম উৎপাদন হলে, সেই আমের দাম অনেকটা বেড়ে যাবে ৷ এতে চাষিদের লাভের পরিমাণও বাড়বে ৷ পাশাপাশি, এই আম আমরা ইউরোপ, আমেরিকাতে আরও বেশি পরিমাণে পাঠাতে পারব ৷"