বর্ধমান, 6 ফেব্রুয়ারি: ফের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে থ্রেট কালচারের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু চিকিৎসক পড়ুয়া । এমনকি পরীক্ষাকেন্দ্রে টোকাটুকি করে পরীক্ষা যাতে হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে । আজ বৃহস্পতিবার সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি চিকিৎসক ও মেডিক্যাল পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠক করেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্যরা । তাঁরা আশ্বাস দেন কলেজে আর আতঙ্কের পরিবেশ থাকবে না ।
বুধবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বাকবিতন্ডার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে । বহিরাগত বেশ কিছু ছেলেদের মদতে কলেজেরই একটা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের হেনস্থা করে বলে অভিযোগ । যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় । পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পাসে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ । এদিন সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে কলেজে আসেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্যরা । তাঁরা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, সিনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেখানে থ্রেট কালচারের পরিবেশ তৈরি, পরীক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় । তারা আশ্বস্ত করেন মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে আর আতঙ্কের পরিবেশ থাকবে না ।
এই বিষয়ে চিকিৎসক ডাঃ গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, "স্বাস্থ্য দফতর থেকে গ্রিভান্স সেলের প্রতিনিধিরা এসে একটা বৈঠক করেন । বৈঠকে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে যে থ্রেট কালচার তৈরি হয়েছে সেই পরিস্থিতি যেন আর না ফিরে আসে তা বলা হয় । অভীক দে-র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবন তদন্ত করে যে রিপোর্ট পেশ করেছে সেক্ষেত্রে যেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই আবেদন গ্রিভান্স সেলের কাছে রাখা হয়েছে ।হাসপাতালে রোগী নিরাপত্তা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়টি দেখার জন্যও আবেদন করা হয়েছে । বুধবার অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট বহিরাগতরা যেভাবে জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়াদের হেনস্থা করে তার প্রতিবাদ জানিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে আবেদন করা হয়েছে । আগামী দিনে পরীক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে যাতে চালানো হয় সেই বিষয়ে আলোচনা হয় । গতকালের ঘটনা প্রমাণ করছে মেডিক্যাল কলেজে ফের থ্রেট কালচারের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে ।"
গ্রিভান্স সেলের পক্ষে ডাঃ সৌরভ দত্ত বলেন, "ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে চিকিৎসকদের নিয়ে একটা সভার আয়োজন করা হয়েছে । সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকবেন । সেই জন্য বিভিন্ন জেলা ঘুরে মেডিক্যাল কলেজগুলির সুবিধা অসুবিধার কথা জানার চেষ্টা করছি । সমস্ত বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে । এছাড়া এখানকার চিকিৎসক পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনে নিয়েছি । আমাদের তরফে যা ফিডব্যাক দেওয়ার সেটা দেব । আশা করছি সমস্যা মিটে যাবে । যারা ভুল করেছে তারাও বুঝতে পারবে । পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে । তবে পরীক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা হয়েছে । সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় । তারা এই স্বচ্ছ পরীক্ষার পক্ষে সায় দিয়েছে । আমরাও তাদেরকে আশ্বস্ত করি এরপর থেকে কলেজে আর আতঙ্কের পরিবেশ থাকবে না ।"