প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ), 25 জানুয়ারি: স্টারডম ছেড়ে সাধনার পথে অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ৷ মহাকুম্ভের মেলায় সঙ্গম তথা পুণ্যি পুকুরে ডুব দিয়ে হয়ে গিয়েছেন সাধ্বী ৷ সত্যিই কী সনাতন ধর্মের প্রচারে ব্রতী হলেন 'প্রাক্তন' অভিনেত্রী নাকি পুরোটাই 'পাবলিসিটি স্ট্যান্ট' ? প্রশ্ন তুললেন ট্রান্সজেন্ডার কথাবচক জগৎগুরু হিমাঙ্গি সখী মা ৷
শুক্রবার মহাকুম্ভ প্রাঙ্গনে জীবনের নতুন সূচণা করলেন মমতা ৷ 25 বছর তিনি ছিলেন নিরুদ্দেশ ৷ কয়েকমাস আগেই ভারতে ফেরেন তিনি ৷ চলে আসেন খবরের শিরোনামে ৷ এরপর আচমকাই সন্ন্যাসের পথ গ্রহণ করেন অভিনেত্রী ৷ কিন্নর আখাড়ার মহামণ্ডলেশ্বর হিসাবে নিযুক্ত হন মমতা কুলকার্নি ৷ এরপরেই এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতার অতীত তুলে ধরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জগৎগুরু হিমাঙ্গি সখী ৷
তিনি বলেন, "কিন্নর আখাড়াতে মমতা কুলকার্নির মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া আসলে একটা প্রচারমূলক বিষয় ৷ সমাজ মমতার অতীত জানে ৷ মাদক পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি জেলেও গেছেন ৷ আচমকাই তিনি ভারতে আসেন ৷ মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেন ও মহামণ্ডলেশ্বরের পদ পেয়ে যান ৷ পুরো বিষয়টার তদন্ত হওয়া উচিত ৷" |
এরপরেই তিনি বলেন, "এই ধরনের মানুষকে মহামণ্ডলেশ্বরের পদ দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি কেমন গুরু যে সনাতন ধর্মের প্রচার করবেন ? এটা নৈতিকতার প্রশ্ন ৷ যে ব্যক্তি গুরু বলার যোগ্য নয়, তাঁকে গুরু বানানো হচ্ছে।" শুক্রবার মমতা প্রয়াগরাজের সঙ্গম ঘাটে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের পিণ্ডদান করেন ৷ এরপর সাধ্বীর পথ গ্রহণ করেন ৷