কলকাতা, 28 মার্চ: নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত মহুয়া ৷ তাই বৃহস্পতিবার ইডি হাজিরা দিতে দিল্লি যেতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ৷ এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি দুপুরে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যাব ৷" বুধবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তাঁকে ফের তলব করে ৷ এবার বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত ফেমা আইনে মহুয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ৷ সেই তদন্তেই আজ তাঁর ডাক পড়ে দিল্লিতে ৷ মহুয়া ছাড়া দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকেও তলব করেছে ইডি ৷ গত বছর 8 ডিসেম্বর অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে তাঁকে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷
এর আগেও দু'দুবার মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছিল ইডি ৷ তবে দু'বারই তিনি কাজের ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে তলব এড়িয়ে যান ৷ আরও সময় চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ৷ এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাক্তন লোকসভা সাংসদকে ফেমা আইনেই তলব করেছিল ইডি ৷ 19 ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার কার্যালয়ে মহুয়াকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয় ৷ তাঁর জবানবন্দি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) আইনের অধীনেই রেকর্ড করা হবে বলেও জানা গিয়েছিল ৷ এরপর 49 বছর বয়সি এই নেত্রীকে ফের 11 মার্চ দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরার সমন পাঠানো হয় ৷
সূত্রের খবর, একটি অনাবাসী বহিরাগত (এনআরই) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত লেনদেনগুলি এই ক্ষেত্রে এজেন্সির নজরদারিতে রয়েছে ৷ এ ছাড়াও অন্য বিদেশি রেমিট্যান্স এবং তহবিল স্থানান্তরের তথ্যও রয়েছে ইডির হাতে ৷
23 মার্চ মহুয়া মৈত্রের কৃষ্ণনগরের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷ তাঁর কলকাতার বাড়ি এবং ভাড়াবাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ 'ক্যাশ ফর কোয়েরি' বা প্রশ্নের বিনিময়ে অর্থ মামলায় সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত করছে ৷ লোকপালের রেফারেন্সে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করছে সিবিআই। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অভিযোগ এনেছিলেন ৷ যদিও মহুয়ার দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে তিনি কোনও সমন পাননি ৷
আরও পড়ুন: