অটোয়া, 22 নভেম্বর: খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও যোগ নেই ৷ কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট খারিজ করল জাস্টিন ট্রুডোর সরকার ৷ শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, এই ঘটনায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের জড়িত থাকারও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কানাডা সরকার ৷
এই নিয়ে প্রিভি কাউন্সিলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ বিবৃতির উল্লেখ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা প্রিভি কাউন্সিলের ডেপুটি ক্লার্ক নাথালি জি ড্রউইন বলেন, "দেশে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য গত 14 অক্টোবর ভারতীয় দূতের বিরুদ্ধ গুরুতর অভিযোগ তোলে কানাডা ৷ দেশের তৎকালীন আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় কানাডা সরকার ৷"
সেই সঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "তবে সেই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জড়িত থাকার উল্লেখ বা প্রমাণ কোনওটাই দেওয়া হয়নি ৷ কানাডার কোনও অপরাধের ঘটনার সঙ্গেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ সুতরাং, এই বিষয়ে প্রকাশিত সমস্ত তথ্য মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন ৷"
গত বছরের 18 জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় সুরেতে গুরুদ্বারের সামনে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে হত্যা করা হয় ৷ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়ান কানাডার প্রধানমন্ত্রী ৷ তারপর থেকে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকতে শুরু করে ৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয় কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৷
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে কানাডার এক সংবাদমাধ্য়ম ৷ তাদের দাবি, খালিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ছক কষেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ আর সে কথা জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ৷ ফলে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেও দাবি করা হয় ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে ৷ জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই মিডিয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয় ৷
অটোয়ার সেই মিডিয়া রিপোর্টকে সাফ খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি ৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা সাধারণত মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে মন্তব্য করি না । তবে, কানাডা সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে যখন একটি সংবাদপত্রে এই ধরনের হাস্যকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেই মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে অবহেলার সঙ্গে খারিজ করা উচিত ৷" তিনি আরও জানান, ভারতকে বদনাম করার জন্য কানাডার এই ধরনের মিথ্যা প্রচার দু'দেশের সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে ৷