ETV Bharat / state

ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ভিনরাজ্যের যোগ, টাকা যেত বিহারের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে - TAB SCAM IN BENGAL

বাংলার ট্যাব দুর্নীতিতে বিহারের যোগ ৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য় পেল পুলিশ ৷

Tab Scam Arrest
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রসাদ সিংহ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 22, 2024, 2:00 PM IST

বর্ধমান, 22 নভেম্বর: রাজ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বিহার-যোগ । বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির দেবীডাঙা এলাকা থেকে বিহারের রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তদন্তের জন্য শিলিগুড়ি আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশের কাছে ট্যাবের টাকা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত প্রায় 20টি অভিযোগ জমা পড়ে । ওই 20টি স্কুল থেকে 73 জন পড়ুয়ার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যায় বলে অভিযোগ । এর মধ্যে বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের 28 জন ছাত্রের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে । স্কুলগুলি থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সাইবার থানা । পুলিশ মালদা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে । এদের মধ্যে আছে মালদার বৈষ্ণবনগরের রকি শেখ নামে এক ব্যক্তি । তার কাছ থেকে 19টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ ।

ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রথমে মালদা থেকে হাসেম আলিকে গ্রেফতার করে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে 2019 সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে সে কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয় ৷ হাসেমের সঙ্গে একটা 15-20 জনের গ্যাং কাজ করে । তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা । কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্স করার পরে হাসেম নেট দুনিয়ায় হাত পাকিয়ে ফেলে ৷ প্রযুক্তি ব্যবহারে রীতিমতো পারদর্শী হওয়ায় হাসেম বিভিন্ন পোর্টালে অ্যাকসেস নিতে শুরু করে । তার টিমের অন্যান্যরা অপরের নথি হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করত ।

গ্রেফতার করার পরে হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাছে আরও কিছু তথ্য আসে । সেই তথ্যের ভিত্তিতে পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার ও রকি শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাদের সকলের বাড়ি মালদাতেই । ধৃতদের মধ্যে রকি শেখ মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক । তার বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগ ইন করার তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ আছে । যা অর্থ তছরূপ করতে সাহায্য করেছে বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ ৷

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, 500 থেকে 2000 টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। অর্থাৎ, ধৃত কোনও ব্যক্তি অন্য একজনের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে ব্যবহার করছিল । ট্যাবের টাকা সেই অ্যাকাউন্টে এলে তারা এটিএম কার্ড কিংবা ইউপিআই-এর মাধ্যমে তা তুলে নিত । বিনিময়ে যে ব্যক্তি তাকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিয়েছেন তাকে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিত । পুলিশ জানতে পেরেছে ট্যাবের টাকা প্রকৃত পড়ুয়াদের (উপভোক্তা) অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে কোন অ্যাকাউন্টে যাবে সেই সমস্ত তথ্য জোগাড় করতেন ধৃত রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ ।

এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, "ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় শিলিগুড়ি থেকে রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ নামে 34 বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় । শুক্রবার বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় ৷"

বর্ধমান, 22 নভেম্বর: রাজ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বিহার-যোগ । বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির দেবীডাঙা এলাকা থেকে বিহারের রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তদন্তের জন্য শিলিগুড়ি আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশের কাছে ট্যাবের টাকা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত প্রায় 20টি অভিযোগ জমা পড়ে । ওই 20টি স্কুল থেকে 73 জন পড়ুয়ার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যায় বলে অভিযোগ । এর মধ্যে বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের 28 জন ছাত্রের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে । স্কুলগুলি থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সাইবার থানা । পুলিশ মালদা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে । এদের মধ্যে আছে মালদার বৈষ্ণবনগরের রকি শেখ নামে এক ব্যক্তি । তার কাছ থেকে 19টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ ।

ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রথমে মালদা থেকে হাসেম আলিকে গ্রেফতার করে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে 2019 সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে সে কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয় ৷ হাসেমের সঙ্গে একটা 15-20 জনের গ্যাং কাজ করে । তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা । কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্স করার পরে হাসেম নেট দুনিয়ায় হাত পাকিয়ে ফেলে ৷ প্রযুক্তি ব্যবহারে রীতিমতো পারদর্শী হওয়ায় হাসেম বিভিন্ন পোর্টালে অ্যাকসেস নিতে শুরু করে । তার টিমের অন্যান্যরা অপরের নথি হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করত ।

গ্রেফতার করার পরে হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাছে আরও কিছু তথ্য আসে । সেই তথ্যের ভিত্তিতে পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার ও রকি শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাদের সকলের বাড়ি মালদাতেই । ধৃতদের মধ্যে রকি শেখ মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক । তার বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগ ইন করার তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ আছে । যা অর্থ তছরূপ করতে সাহায্য করেছে বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ ৷

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, 500 থেকে 2000 টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। অর্থাৎ, ধৃত কোনও ব্যক্তি অন্য একজনের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে ব্যবহার করছিল । ট্যাবের টাকা সেই অ্যাকাউন্টে এলে তারা এটিএম কার্ড কিংবা ইউপিআই-এর মাধ্যমে তা তুলে নিত । বিনিময়ে যে ব্যক্তি তাকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিয়েছেন তাকে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিত । পুলিশ জানতে পেরেছে ট্যাবের টাকা প্রকৃত পড়ুয়াদের (উপভোক্তা) অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে কোন অ্যাকাউন্টে যাবে সেই সমস্ত তথ্য জোগাড় করতেন ধৃত রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ ।

এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, "ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় শিলিগুড়ি থেকে রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ নামে 34 বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় । শুক্রবার বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.