কলকাতা, 15 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এবার পুলিশের উর্দির নেমপ্লেটের গোলক ধাঁধা । আরজি করে বুধবার মধ্যরাতে যে তাণ্ডব চলে সেই ঘটনায় পুলিশ 12 জনকে গ্রেফতার করেছে । ধৃতদের আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয় ৷ টালা থানার যে পুলিশকর্মী ধৃতদের নিয়ে আসেন তিনি কাঠগড়ায় ওঠার সময় সন্দেহ হয় আইনজীবীদের ।
তখনই আইনজীবীদের তরফ থেকে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয় ওই পুলিশকর্মীর নাম জিজ্ঞাসা করতে । এরপর, বিচারক নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার নাম বলেন । অথচ, কোটরুমের আইনজীবীরা দেখতে পান ওই পুলিশকর্মী যে নাম বললেন আর তার উর্দিতে অন্য নাম লেখা ৷ এরপরেই বিচারক তাঁর কাছ থেকে জানতে চান যে, আপনি আপনার যে নাম বলছেন তার সঙ্গে তো আপনার উর্দিতে যে নাম লেখা রয়েছে কোনও মিল নেই । তখন পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়, গতকাল রাত থেকে তাঁরা কর্তব্যরত অবস্থায় রয়েছেন । এই তাড়াহুড়োর মাঝে তিনি ভুল করে অন্য পুলিশকর্মীর নেমপ্লেট লাগানো উর্দি পরে চলে এসেছেন । এরপর ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় । পাশাপাশি, ওই তদন্তকারী আধিকারিককে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ৷
ঘটনায় লালবাজারে তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি । এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে একজন পুলিশকর্মী কীভাবে সহকর্মীর উর্দি পরে আদালতে হাজির হলেন ? সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, কোন বিষয়কে আড়াল করার জন্য পুলিশ এই কাজ করছে ?
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল । সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 12 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করার সময় পুলিশের উর্দি বিভ্রাট নজরে আসে আদালতের ৷