ETV Bharat / state

পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, বারুইপুরে তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দেহ - Pregnant Killed in Baruipur

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 11, 2024, 9:58 PM IST

Pregnant Killed in Baruipur over Dowry: পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ৷ ঘরে তালা দিয়ে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ বারুইপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি মৃতের বাবার ৷

Pregnant Killed in Baruipur
বারুইপুরে অন্তঃসত্ত্বার দেহ উদ্ধার (নিজস্ব ছবি)

বারুইপুর, 11 জুলাই: পণের দাবিতে দিনের পর দিন অত্যাচার ৷ শেষে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুন করে দেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শঙ্করপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগরা এলাকায় ৷ মৃতের নাম রুকসানা বিবি (23) ৷

অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

রাতেই দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ পরিবারের বাকি লোক পলাতক ৷ তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ ৷ রুকসানার বাবা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ৷

মৃতের বাবা রোশন শেখ বলেন, "আমার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল ৷ বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বারবার ওঁর শশুরবাড়ির লোক আমার মেয়েকে চাপ দিত । বুধবার আমার মেয়েকে খুন করে তাঁরা সবাই পালিয়ে গিয়েছে । প্রশাসনের কাছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি । দোষীদের যেন মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করা হয় ।"

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সাহিলের । কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তে পড়তে মাস আটেক আগে রুকসানার অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয় । কিন্তু সেই বিয়ে করতে নারাজ ছিলেন তিনি ৷ তাই প্রেমিক সাহিলের হাত ধরে রুকসানা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন ।

রুকসানার দাদা খোকন শেখ বলেন, "বোন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁকে আমরা আনতে যাই ৷ কিন্তু সে ওই ছেলেকে বিয়ে করবে বলে অনড় ছিল ৷ বোনের বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর নানাভাবে অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ পণের দাবি করা হত ৷ প্রেম করে বিয়ে করায় আমাদের কাছে বোন তা প্রকাশ করত না ৷ শেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে আমাদের বাড়ি চলেও আসে ৷ ওঁর বর এসে ওঁকে আবার নিয়ে যায় ৷ এরপরেই ঘরে চাবিতালা দিয়ে পিটিয়ে বোনকে মেরে ফেলেছে ৷"

এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা দেহ তুলতে পুলিশকে বাধা দেয় ৷ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা ৷ পরে বেশি সংখ্যায় পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে । তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।

বারুইপুর, 11 জুলাই: পণের দাবিতে দিনের পর দিন অত্যাচার ৷ শেষে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুন করে দেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শঙ্করপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগরা এলাকায় ৷ মৃতের নাম রুকসানা বিবি (23) ৷

অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

রাতেই দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ পরিবারের বাকি লোক পলাতক ৷ তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ ৷ রুকসানার বাবা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ৷

মৃতের বাবা রোশন শেখ বলেন, "আমার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল ৷ বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বারবার ওঁর শশুরবাড়ির লোক আমার মেয়েকে চাপ দিত । বুধবার আমার মেয়েকে খুন করে তাঁরা সবাই পালিয়ে গিয়েছে । প্রশাসনের কাছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি । দোষীদের যেন মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করা হয় ।"

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সাহিলের । কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তে পড়তে মাস আটেক আগে রুকসানার অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয় । কিন্তু সেই বিয়ে করতে নারাজ ছিলেন তিনি ৷ তাই প্রেমিক সাহিলের হাত ধরে রুকসানা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন ।

রুকসানার দাদা খোকন শেখ বলেন, "বোন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁকে আমরা আনতে যাই ৷ কিন্তু সে ওই ছেলেকে বিয়ে করবে বলে অনড় ছিল ৷ বোনের বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর নানাভাবে অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ পণের দাবি করা হত ৷ প্রেম করে বিয়ে করায় আমাদের কাছে বোন তা প্রকাশ করত না ৷ শেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে আমাদের বাড়ি চলেও আসে ৷ ওঁর বর এসে ওঁকে আবার নিয়ে যায় ৷ এরপরেই ঘরে চাবিতালা দিয়ে পিটিয়ে বোনকে মেরে ফেলেছে ৷"

এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা দেহ তুলতে পুলিশকে বাধা দেয় ৷ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা ৷ পরে বেশি সংখ্যায় পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে । তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.