কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: নতুন রাজ্য সম্পাদক এবং সভাপতি পেয়েছে এসএফআই। সৃজন ভট্টাচার্যের জায়গায় সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন দেবাঞ্জন দে। সভাপতি পদে প্রতিকুর রহমানের জায়গায় দায়িত্ব পেলেন কোচবিহারের এসএফআই নেতা প্রণয় কার্য্যী । একইভাবে 26 জনের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য করা হয়েছে । আর 97 জনকে রাজ্য কমিটির সদস্য তালিকায় রাখা হয়েছে । তাঁরাই এখন রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের স্বার্থে নানারকম আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে মাতৃভাষায় শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে এসএফআই।
দেবাঞ্জন দে ও প্রণয় কার্যীদের বক্তব্য, "এসএফআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমদের পরামর্শ আমাদের সঙ্গে আছে । বাংলা থেকে বামফ্রন্ট সরকারের বিদায়ের পর এ বছরই প্রথমবার 8 লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি আমরা। শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টানা রাস্তায় থাকার সুফল পাওয়া যাচ্ছে । তাই, কলেজ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বৃত্ত বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে । ইতিমধ্যে, 4টি প্রান্তিক ভাষায় এসএফআইয়ের সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে । এবার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাতৃভাষায় পড়াশুনো দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে।"
বিগত কয়েক বছরে জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে এসএফআই। বিভিন্ন বিষয়ে সভা সমাবেশ থেকে শুরু করে লাগাতার আন্দোলন চলছে । দেবাঞ্জন-প্রণয়দের কথায়, "মিড-ডে-মিলে অনিয়ম থেকে গবেষণার ফেলোশিপ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ছাত্রদের প্রচুর সমস্যা রয়েছে । পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হাজার হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া, কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ড্রপআউট হয়ে যাওয়া, আসলে শিক্ষাব্যবস্থার বেআব্রু পরিকাঠামোকেই দিকনির্দেশ করে । তৃণমূল বা বিজেপি এই বিষয়গুলির দিকে দৃষ্টিপাত করছে না। সেখানে ছাত্রদের এই সমস্যাগুলিকে তুলে ধরার কারণেই ছাত্রসমাজ এসএফআইয়ের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে ।
তবে তাঁরা মানছেন, শুধু যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি নয়, রাজ্যের অন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও টিএমসিপি'র সন্ত্রাসের মোকাবিলা করে নতুনভাবে সংগঠন গড়ে তোলার যে কাজে তাঁরা হাত দিয়েছেন, তা সম্পন্ন করতে এখনও বেশ কিছুদূর যেতে হবে এসএফআই'কে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংগঠনের শক্তিসঞ্চয়, ও আরএসএস'এর বিরুদ্ধে আদর্শগত প্রস্তুতিকেই পাখির চোখ করছেন তারা । সম্প্রতি যুবদের ব্রিগেড সমাবেশের ভিড় উৎসাহ দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের বাম কর্মীদের । এই আবহেই নতুন করে বাম শিবিরকে অক্সিজেন জোগাতে নানা ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন ছাত্রনেতারা ।
আরও পড়ুন: