কলকাতা, 15 মার্চ: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস এন্ড বাউন্সের সম্পত্তির উৎস কী ? প্রাথমিক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় এই নিয়ে একাধিক পর্যবেক্ষণ ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার। একই সঙ্গে নিয়োগ দূর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট এখনও কেন সিবিআই জমা দিতে পারছে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। কিন্তু শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি ।
সেই নির্দেশনামা কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে । সেখানে চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার । শুনানিতে সিল করা খামে রিপোর্ট দিয়েছিল সিবিআই ও ইডি । সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি নির্দেশে উল্লেখ করেছেন, ‘‘সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে দূর্নীতির জাল মৌমাছির চাকের মতো ছড়িয়েছে। সেই বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে তারা । যে পরিমাণ টাকার দূর্নীতি হয়েছে তা দেখে চোখ কপালে ওঠে । সেই টাকা একাধিক হাত ঘুরেছে। এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তি । এক দফতর থেকে বিভিন্ন দফতর- এভাবেই দূর্নীতির জাল ছডি়য়েছে । ভিনরাজ্যেও সেই টাকা চালান করা হয়েছে । সরকারি চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে । তদন্তে যাতে কোনওরকম প্রভাব না-পড়ে এবং বিঘ্ন না-ঘটে, সেদিকে তাকিয়ে আপাতত সবটা নির্দেশে উল্লেখ করছে না আদালত’’ ৷
বিচারপতি সিনহা নির্দেশে আরও উল্লেখ করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট পেশ করতে হবে । যাতে এই মামলায় নিম্ন আদালত বিচারপর্ব শুরু করতে পারে । না হলে অগণিত চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণা বা আদালতের প্রচেষ্টা কিছুই কাজে আসবে না । ইডি’র রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার পর প্রায় দু’মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আদালতে জানানো হয়েছে, এখনও সিএফএসএল থেকে রিপোর্ট আসেনি । এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানির যে বিপুল সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার উৎস কী সে বিষয়ে সিবিআই ও ইডিকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ 24 এপ্রিল এ বিষয়ে দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: