ETV Bharat / bharat

রামমন্দিরের দেখাদেখি এমন অনেক ঘটনাই ঘটছে, ক্ষুব্ধ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত - RSS CHIEF MOHAN BHAGWAT

মোহন ভাগবত জানান, বিশ্বকে দেখানো দরকার যে দেশ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।

RSS CHIEF MOHAN BHAGWAT
মোহন ভাগবত (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 5 hours ago

পুনে, 20 ডিসেম্বর: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফের একবার মন্দির-মসজিদ বিরোধ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ৷ রামমন্দিরের পর দেশ জুড়ে বেশ কয়েকটি অনুরূপ বিতর্ক সামনে এসেছে ৷ যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাগবত জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি তাদের হিন্দুত্ববাদী প্রমাণের জন্য এগুলি টেনে আনছেন। তাঁর মতে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পরে, তারা এই জাতীয় সমস্যাগুলি তুলে ধরে নিজেদেরকে সম্ভাব্য ‘হিন্দুদের নেতা’ হিসাবে তুলে ধরতেও চাইছেন।

বৃহস্পতিবার 'ভারত - দ্য বিশ্বগুরু' বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাগবত অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের পক্ষে জোর সওয়াল করেন ৷ তিনি জানান, বিশ্বকে দেখানো দরকার যে দেশ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে। ভারতীয় সমাজের বহুত্বকে তুলে ধরে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান এও বলেন, "রামকৃষ্ণ মিশনে বড়দিন উদযাপন করা হয় ৷ কেবল আমরা এটি করতে পারি, কারণ আমরা হিন্দু ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছি। আমরা যদি বিশ্বকে এই সম্প্রীতি প্রদান করতে চাই তবে, আমাদের এর একটি মডেল তৈরি করতে হবে।"

এরপরই তিনি বলেন, "রামমন্দির নির্মাণের পর, কিছু লোক ভেবেছিল যে তারা নতুন জায়গায় একই ধরনের বিষয় তুলে ধরে হিন্দুদের নেতা হতে পারে। এটা গ্রহণযোগ্য নয় ৷” ভাগবত আরও বলেন, "রামমন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল যেহেতু এটি সমস্ত হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয়। প্রতিদিনই একটি নতুন বিষয় (বিবাদ) উত্থাপিত হচ্ছে। এটা কীভাবে অনুমোদিত হতে পারে ? এভাবে চলতে পারে না। ভারতকে দেখাতে হবে যে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি ৷" মন্দির আবিষ্কারের জন্য মসজিদের সমীক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি দাবি সাম্প্রতিক অতীতে আদালতে তাদের পথ খুঁজে পেয়েছে, যদিও ভাগবত তাঁর বক্তৃতায় কারও নাম উল্লেখ করেননি।

তাঁর কথায়, "এখন সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে। এই অবস্থায়, জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে ৷ যারা সরকার চালায়। আধিপত্যের দিন চলে গিয়েছে ৷” তিনি বলেন, "মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসন এমন দৃঢ়তার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যদিও তার বংশধর বাহাদুর শাহ জাফর 1857 সালে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। অযোধ্যায় রামমন্দির হিন্দুদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ব্রিটিশরা তা বুঝতে পেরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। তখন থেকেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদের উদ্ভব হয়। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের অস্তিত্ব হয়েছিল ৷”

পুনে, 20 ডিসেম্বর: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফের একবার মন্দির-মসজিদ বিরোধ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ৷ রামমন্দিরের পর দেশ জুড়ে বেশ কয়েকটি অনুরূপ বিতর্ক সামনে এসেছে ৷ যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাগবত জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি তাদের হিন্দুত্ববাদী প্রমাণের জন্য এগুলি টেনে আনছেন। তাঁর মতে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পরে, তারা এই জাতীয় সমস্যাগুলি তুলে ধরে নিজেদেরকে সম্ভাব্য ‘হিন্দুদের নেতা’ হিসাবে তুলে ধরতেও চাইছেন।

বৃহস্পতিবার 'ভারত - দ্য বিশ্বগুরু' বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাগবত অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের পক্ষে জোর সওয়াল করেন ৷ তিনি জানান, বিশ্বকে দেখানো দরকার যে দেশ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে। ভারতীয় সমাজের বহুত্বকে তুলে ধরে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান এও বলেন, "রামকৃষ্ণ মিশনে বড়দিন উদযাপন করা হয় ৷ কেবল আমরা এটি করতে পারি, কারণ আমরা হিন্দু ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছি। আমরা যদি বিশ্বকে এই সম্প্রীতি প্রদান করতে চাই তবে, আমাদের এর একটি মডেল তৈরি করতে হবে।"

এরপরই তিনি বলেন, "রামমন্দির নির্মাণের পর, কিছু লোক ভেবেছিল যে তারা নতুন জায়গায় একই ধরনের বিষয় তুলে ধরে হিন্দুদের নেতা হতে পারে। এটা গ্রহণযোগ্য নয় ৷” ভাগবত আরও বলেন, "রামমন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল যেহেতু এটি সমস্ত হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয়। প্রতিদিনই একটি নতুন বিষয় (বিবাদ) উত্থাপিত হচ্ছে। এটা কীভাবে অনুমোদিত হতে পারে ? এভাবে চলতে পারে না। ভারতকে দেখাতে হবে যে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি ৷" মন্দির আবিষ্কারের জন্য মসজিদের সমীক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি দাবি সাম্প্রতিক অতীতে আদালতে তাদের পথ খুঁজে পেয়েছে, যদিও ভাগবত তাঁর বক্তৃতায় কারও নাম উল্লেখ করেননি।

তাঁর কথায়, "এখন সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে। এই অবস্থায়, জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে ৷ যারা সরকার চালায়। আধিপত্যের দিন চলে গিয়েছে ৷” তিনি বলেন, "মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসন এমন দৃঢ়তার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যদিও তার বংশধর বাহাদুর শাহ জাফর 1857 সালে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। অযোধ্যায় রামমন্দির হিন্দুদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ব্রিটিশরা তা বুঝতে পেরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। তখন থেকেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদের উদ্ভব হয়। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের অস্তিত্ব হয়েছিল ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.