নিউইয়র্ক ও নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: ফের 21 মিলিয়ন ডলার ! এনিয়ে চতুর্থবার ভারতের ভোটে পূর্বতন বাইডেন প্রশাসনের কয়েক মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷ এবার তিনি সরাসরি দাবি করলেন, আমেরিকা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই বিপুল অর্থ ভারতের ভোটের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁর এই দাবির পর কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তাঁর 'বন্ধু'র সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে এই অভিযোগ প্রত্যাহারের আর্জি জানাল ৷
আমেরিকার স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটনে 'গভর্নর্স ওয়ার্কিং সেশন'-এ বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তিনি বলেন, "আমার বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে 21 মিলিয়ন ডলার গিয়েছে ভোটের জন্য ৷ আমরা ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য 21 মিলিয়ন দিয়েছি ৷ আমাদের কী হবে ? আমিও ভোটের হার বৃদ্ধি করতে চাই ৷" এই ভিডিয়োর ক্লিপিংটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে হোয়াইট হাউস ৷
डोनाल्ड ट्रंप ने आज कहा कि 21 मिलियन डॉलर मैंने अपने दोस्त नरेंद्र मोदी को वोटर टर्नआउट बढ़ाने के लिए दिए हैं।
— Congress (@INCIndia) February 22, 2025
लेकिन ट्रंप के इस बयान के बाद आज चारों तरफ चुप्पी है। इसलिए हम नरेंद्र मोदी से जानना चाहते हैं कि ये 21 मिलियन डॉलर कहां गए?
क्योंकि ट्रंप के बयान से साबित हो गया है… pic.twitter.com/JlD0yczwQC
এদিকে কংগ্রেসের তরফে প্রবীণ নেতা পবন খেরা একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বলেছেন 21 মিলিয়ন ডলার আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য দিয়েছি ৷ কিন্তু ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর চারদিকে নিস্তব্ধতা ৷ আমরা নরেন্দ্র মোদির কাছে জানতে চাই, এই 21 মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল ? কারণ ট্রাম্পের বয়ানেই তো প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, তিনি 21 মিলিয়ন ডলার মোদিকে ভোট প্রভাবিত ও ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য দিয়েছেন ৷ আমরা বারংবার ভোটের হার বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করে চলেছি ৷ তাহলে কি এই অর্থেই ভোটের হার বৃদ্ধি হয়ে চলেছে ? নরেন্দ্র মোদি যতই বিদেশি ফান্ড নিয়ে আসুন না কেন, ভারতের গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারবেন না ৷"
প্রথমে 16 ফেব্রুয়ারি আমেরিকার 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য 21 মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে ৷ ট্রাম্প প্রশাসনের এই দফতরের প্রধান ধনকুবের ইলন মাস্ক ৷ এই ঘোষণার পরপরই ভারতের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে ৷ বিজেপি কংগ্রেসকে এই আর্থিক অনুদান নিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করে ৷ রাহুল গান্ধির আমেরিকায় যাওয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলে ৷
এই আবহে বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায় ভারতের নির্বাচনে 21 মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে ৷ ট্রাম্প আরও জানায় যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী করতে আমেরিকা টাকা ঢেলেছে ৷ বিরোধী কংগ্রেস বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে শ্বেতপত্রের দাবি তুলেছে ৷ কোন এজেন্সি থেকে ভারতের কোন সংস্থা কত টাকা পাচ্ছে, সেই হিসেবনিকেশ প্রকাশ করুক মোদি সরকার, দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস ৷