চুঁচুড়া, 4 সেপ্টেম্বর: পুলিশকে জুতো ছোড়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি মহিলা নেত্রী। গত 2 সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। হুগলি জেলাশাসক দফতর ঘেরাও করতে যৌথভাবে অভিযান করে হুগলি ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা ৷ অভিযোগ, ঘড়ির মোরে পুলিশ বাঁধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ও বচসা। সেখানেই বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সম্পাদক পম্পা অধিকারী বিক্ষোভ চলাকালীন জুতো হাতে তুলে পুলিশকে দেখাতে থাকে। পরে জুতো পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারেন পম্পা । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার চুঁচুড়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, পুলিশের কাজে বাধা, বেআইনি জমায়েত, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশে জড়ো হওয়া-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত নেত্রীকে এদিন চুঁচুড়া আদালতেও পেশ করা হয়। বিজেপি নেত্রী পম্পা রিষড়া তিন নম্বর জল ট্যাঙ্ক এলাকায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন ভোরে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে গ্রেফতার করে তাঁকে। পরে জানা যায় চুঁচুড়া মহিলা থানার পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারের খবর পেয়ে চুঁচুড়া মহিলা থানায় হাজির হন বিজেপি নেতৃত্ব ৷
হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, "সেদিন অনেকেই বিক্ষোভে ছিল। তাহলে পম্পাকে কেন গ্রেফতার করা হল ? আমরা আইনি লড়াই লড়ব।" বিজেপির দাবি শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছিল তাদের। অন্যায়ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আরজি করের ঘটনায় আসল অপরাধীকে গ্রেফতার না করে, যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে ধরে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এটা ঠিক করছে না রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন।"