পুরন্দরপুর (বীরভূম), 21 অক্টোবর: মঞ্চ একটাই। অনুব্রত মণ্ডল বক্তব্য পেশ করে বেরিয়ে গেলেন। 10 মিনিট পর ওই মঞ্চেই এসে বক্তব্য পেশ করলেন কাজল শেখ ৷ কাজল ও কেষ্টর এমন রাজনৈতিক সমীকরণ দেখা গেল বীরভূমের পুরন্দরপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে ৷ যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু দলেরই অন্দরে ৷ এখনও পর্যন্ত এক সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গেল না কেষ্ট-কাজলকে ৷ একজন যেখানে থাকছেন, অপরজন সেখানে যাচ্ছেন না। এমনই দৃশ্য চলছে অনুব্রত জেলায় ফেরার পর থেকে।
গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে 2 বছর পর বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। 17 অক্টোবর থেকে বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিও শুরু করেছেন ৷ অনুব্রত মণ্ডল যতদিন ছিলেন না ততদিন কোর কমিটি জেলার সাংগঠনিক হাল ধরেছিল। এখনও সেই কোর কমিটি রয়েছে। আর এই কোর কমিটির অন্যতম সদস্য বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ। যিনি রাজনৈতিক পরিসরে অনুব্রতর যুযুধান হিসাবে পরিচিত।
কাজল-কেষ্টকে এখনও পর্যন্ত এক মঞ্চে দেখা যায়নি ৷ 19 অক্টোবর নানুরে বিজয়া সম্মিলনী করেন কাজল শেখ। সেখানে অনুব্রতর চেয়ার শূন্য থাকতে দেখা যায় ৷ এদিন, সিউড়ি 2 নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে এসে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুব্রত বক্তব্য রেখে বেরিয়ে যান ৷
তার 10 মিনিট পর মঞ্চে আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁরা বক্তব্য পেশ করেন মঞ্চে ৷ একইমঞ্চে অনুব্রত ও কাজলের এই দৃশ্যই দেখল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দলেরই অন্দরে।
যদিও, এ প্রসঙ্গে কাজল শেখকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল এসেছিলেন ৷ আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে। উনি আরেকটি বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়েছেন ৷ রাজ্য নেতাদের নির্দেশ মতো দেবাংশু এসেছেন আমি তাঁকে নিয়েই এসেছি ৷ আগে এমন হয়েছে কি হয়নি তা আমি জানি না ৷ বীরভূমের দায়িত্বে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ৷ আমরা কেউ নেতা নই, সবাই কর্মী ৷ সবাই তাঁর নির্দেশেই চলি ৷ আর আমাদের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, তিনি যেখানে যেতে বলেন আমি সেখানেই যাই।"