জলপাইগুড়ি, 11 মার্চ: তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন জলপাইগুড়ির বর্ষীয়ান নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী । দল ছাড়ার চিন্তাভাবনাও তিনি শুরু করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী । কয়েকদিনের মধ্য়েই ময়নাগুড়িতে সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তার আগে এই পদত্যাগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল ৷
অমিতাভ চক্রবর্তী ময়নাগুড়ি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ৷ তিনি কেন ইস্তফা দিলেন, কেনই বা দল ছাড়ার কথা ভাবছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ পদত্যাগের যে চিঠি তিনি তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতিকে লিখেছেন, তা থেকে স্পষ্ট যে গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
অমিতাভ চক্রবর্তী চিঠিতে জেলা সভাপতিকে লিখেছেন, "আমি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য । ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সদস্য । ময়নাগুড়ি পৌরসভার প্রথম কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও আমাকে দলের কার্যকলাপে আমাকে সম্মান প্রদান করা হয় না । ময়নাগুড়ি পৌরসভার সব ওয়ার্ডে কাজের টেন্ডার হলেও আমার ওয়ার্ডে টেন্ডার বাতিল করে দেওয়া হয় । এর ফলে ওয়ার্ডে সম্মানহানি হচ্ছে । এই বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি । জেলা কমিটির নেতৃত্বে থেকেও গুরুত্বহীন । তাই জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক ৷"
পরে এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি 1998 সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করি । কিন্তু আজকের দিনে এসে দেখছি দলে কোনও গুরুত্ব নেই । আমাকে কোনও মিটিংয়ে বা দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ডাকা হয় না । ময়নাগুড়িতে ব্লকে দুই একজন দলটা চালাচ্ছে । ময়নাগুড়ি পৌরসভার একজন কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও আমাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘2008 সালে আমি প্রথম ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম । জেলা কমিটির একজন সাধারণ সম্পাদক হলেও কোনও কোনও মিটিংয়ে ডাকা হয়, আবার কোনও কোনও সময় ডাকা হয় না । তাই আমি মনে করেছি দলের যখন আমাকে দরকার নেই, তখন দলের কোনও পদ ধরে রাখারও দরকার নেই । তাই আমি দলের পদ ছেড়ে দিলাম । একজন সাধারণ সদস্য হয়েই থাকতে চাই । এখনি দল ছাড়ার কোনও ইচ্ছে নেই । তবে এই দলে ভবিষ্যতে থাকব কি না, সেটাও ভাবতে হবে ।’’
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপকে ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।
আরও পড়ুন: