কলকাতা, 1 মে: আমার মুখে লাগাম পরিয়ে আনন্দিত হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা । দল এটা বুঝল না কার মুখে লাগাম পরাচ্ছেন । বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের দলীয় পদ চলে যাওয়ার পর এটাই প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের ।
সকাল থেকেই তাপস রায়কে নিয়ে তাঁর বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাটাছেঁড়া হয়েছে । এবং তারপর দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে । এ দিন সন্ধ্যায় সব কিছুরই জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ । স্পষ্ট ভাষায় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ যদি সবচেয়ে সরব থাকেন সেটা তিনিই । এরপর দল যদি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাঁর কিছু বলার নেই । একইসঙ্গে, তাঁর পদ কাড়ার চিঠিতে যাঁর স্বাক্ষর ছিল, তাঁকে নাম না-করে কুইজমাস্টার বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ ।
এ দিন দলের তরফে যে বিবৃতি দিয়ে কুণালের অপসারণের কথা ঘোষণা করা হয়, তাতে স্বাক্ষর ছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের । তাঁর নাম না-নিলেও কুণাল বলেন, "সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়তে চেয়ে দলকে অনুরোধ করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে । সেটা প্রকাশ্যে টুইটও করেছিলাম । এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই দুটি পদ আমি সরিয়েও দিয়েছিলাম । যে পদটা আমি ছেড়ে দিয়েছি, সেই পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দিয়ে কার কী আনন্দ হতে পারে আমি বলতে পারছি না । আমি তো আগেই বলেছিলাম আমি মুখপাত্র থাকতে চাই না । আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক । আমি মিসফিট । দল যা যা দায়িত্ব দিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে আমি তা পালন করেছি । ফলে যদি কোনও কুইজমাস্টার যদি লেখেন, তাঁকে অপসারণ করা হল, আমি তো তাঁকে জিজ্ঞাসা করব । আপনি কি জানেন, আমি কত তারিখে এই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম ! আপনি কি জানেন, আমি নিজেই এই দুটি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি । আমার রাজনৈতিক পরিচয় থেকে এই পদগুলিকে আমি মুছে দিয়েছি । তারপরে কীভাবে কুইজমাস্টার এই চিঠি লেখেন !"
কুণালের কথায়, "যখন আমি শুনলাম এই চিঠিটি টাইপ হচ্ছে, আমি ফোন অফ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । তারপর এখনও পর্যন্ত মেইল বা ফোনে এই চিঠি আমি পাইনি । যে পদ আমি নিজে ছাড়তে চাই, তার অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়ালের কী আছে ! তাই সেই চিঠি আমি চাইছিও না । আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা মহান ব্যক্তি । মহানুভব । আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাধারণ সৈনিক ছিলাম । আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাধারণ সৈনিক থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব ।"
আরও পড়ুন: