নয়াদিল্লি, 28 ফেব্রুয়ারি: মামলা রুজুর প্রায় পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার সমাজবাদী পার্টির সভাপতি এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে তলব করল সিবিআই ৷ বে-আইনি খনি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাক্ষী হিসাবে তলব করেছে ৷ সিআরপিসি-এর 160 ধারার অধীনে জারি করা একটি নোটিশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অখিলেশকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে খবর ৷ গত 2019 সালে নথিভুক্ত হয় মামলা ৷ সিবিআইয়ের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সেই মামলার বিষয়েই আগামী 29 ফেব্রুয়ারি এজেন্সির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে অখিলেশকে ৷
একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, 160 ধারায় তদন্তে সাক্ষীদের তলব করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই ধারাতেই অখিলেশকে ডাকা হয়েছে ৷ কয়লা খনির ইজারা প্রদান সংক্রান্ত মামলাটি ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট সিবিআইকে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ করা হয় যে, 2012-16 সালে অখিলেশ যাদবের মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় সরকারী কর্মচারীরা অবৈধভাবে খনির অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ খনির উপর জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধভাবে লাইসেন্স রিনিউও করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা, খনিজ চুরির অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ পাশাপাশি ইজারাদার ও চালকদের কাছ থেকে তোলাবাজি করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিবিআই 2016 সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে খনিগুলির অবৈধ খননের মামলার তদন্তের জন্য সাতটি প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছিল। এজেন্সি সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছিল, তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দফতর একদিনে 13টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল ৷ সিবিআই আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অখিলেশ যাদব কিছু সময়ের জন্য খনি সংক্রান্ত দফতর নিজের কাছে রেখেছিলেন ৷ আর সেই সময়, ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে 14টি ইজারা তিনি ক্লিয়ার করেছিলেন ৷ যার মধ্যে 13টি 2013 সালের 17 ফেব্রুয়ারি অনুমোদন করা হয়েছিল। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দাবি করেছে, 2012 সালের ই-টেন্ডার নীতি লঙ্ঘন করে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরে 2013 সালের 17 ফেব্রুয়ারি হামিরপুরের জেলাশাসকের তরফে ইজারা দেওয়া হয়েছিল, যা সেই বছরের 29 জানুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্ট অনুমোদন করে।
আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলা, সমাজবাদী পার্টির এমএলসি রমেশ কুমার মিশ্র এবং সঞ্জয় দীক্ষিত-সহ 11 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর জন্য সিবিআই জানুয়ারি 2019-এ 14টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল। 2012-16 সালে হামিরপুর জেলায় খনিগুলির কথিত অবৈধ খনির তদন্তও শুরু করে। অখিলেশ যাদব 2012 থেকে 2017 সালের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ৷ 2012-13 সালে খনির পোর্টফোলিও নিজের কাছে রাখেন ৷ এফআইআর অনুসারে স্পষ্টতই তাঁর ভূমিকা সিবিআই-এর তদন্তের স্ক্যানারের আওতায় এসে গিয়েছে। গায়ত্রী প্রজাপতির পর 2013 সালে খনিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অখিলেশ ৷ (পিটিআই)