রায়গঞ্জ, 4 মে : কোথাও লাঠি নিয়ে তাড়া করল পুলিশ। আবার কোথাও লাঠিপেটা করতে হল। সোমবার সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই বেপরোয়া জড়ো হওয়া মানুষদের হঠাতে এইভাবেই দিনভর কাজ করল ইসলামপুর থানার পুলিশ । উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় একই চিত্র সোমবারের। ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে জনসাধারণকে লাঠি নিয়ে তাড়া করল পুলিশ। শুধু তাই নয় দু’এক জায়গায় লাঠিচার্জও করতে হলো তাঁদেরকে।
লকডাউনের মধ্যেই সোমবার ছিল একটু অন্যরকম চিত্র। যেন হাট জমে উঠেছে এলাকায় এলাকায়। বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস চত্বর কিংবা দোকান, এদিন ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানুষ সামাজিক দূরত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ।
তবে এদিন আচমকা এই ভিড়ের জন্য ঘরবন্দী মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে গ্রীন জোন। তা ধরে রাখার ব্যাপারে অনেক মানুষই এখনও অসচেতন। ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দোকান খোলার ঘোষণা নিয়ে ধন্দে সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা কোন দোকান কখন খুলবে আর কটা পর্যন্ত খোলা থাকবে তা সঠিক জানেন না। এদিন বারবার সাধারণ মানুষ যেখানে ভিড় করেছে তাঁদের সচেতন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। কোথাও কঠোরভাবে মানুষকে বোঝাতে বাধ্য হন তাঁরা।
এ বিষয়ে ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়াল জানান, দোকানপাট খোলার বিষয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে দোকান খোলা রাখা যাবে না । সকলকেই সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদেব নন্দী জানান, ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কেউ দোকান খুলবেন না। যদি কেউ খুলেই থাকেন তবে সেটা তাঁর নিজস্ব ঝুকি। এ বিষয়ে সংস্থা কোনওভাবেই দায়বদ্ধ নয়।