রায়গঞ্জ, 10 অক্টোবর: একদিকে বাংলাজুড়ে দশভুজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া ৷ ঠিক তখনই উলটো চিত্র রায়গঞ্জ থেকে অনতিদূরেই খাদিমপুর গ্রামে । কারণ এখানে যে দশমীতেই শুরু দুর্গাপুজা ! দশমীর রাত থেকে দুর্গাপুজো শুরু হয় খাদিমপুর গ্রামে ৷ পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই । পুজোর চারদিন বসে মেলাও।
রায়গঞ্জের 14 নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে । তবে এখানে দেবী দুর্গাকে 'বালাইচণ্ডী' রূপে পুজো করা হয় ৷ দশভুজার বদলে দেবী এখানে চতুর্ভুজা । চার হাতে অস্ত্র থাকলেও দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর । তবে এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই ।
খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা সুরেন্দ্রনাথ বর্মণ জানালেন, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারে না । আনুমানিক 500 বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো ৷ একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় হয় এখানে দুর্গাপুজো ৷ দেবী এখানে বালাইচণ্ডীরূপে পূজিত হন । দশমীর রাত থেকে শুরু হয় পুজো ৷ চলে তিনদিন ৷ পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা । পুজোর পাশাপাশি মেলা বসে ।
বালাইচণ্ডীরূপী দুর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো । পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা । বহু দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন পুজো দেখতে । শারদীয়া উৎসব শেষে যখন বিষাদের সুর বাজছে চারিদিকে তখনই রায়গঞ্জ থেকে 13 কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই ।