খড়দা, 3 নম্ভেম্বর: "আমি আমার স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেছি। দেহ পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝেতে। আমায় গ্রেফতার করুন স্যার।" খড়দা থানায় গিয়ে দারোগা-কে বলল 'খুনি' স্বামী (Husband Murdered Wife in Khardaha)।
পানিহাটি পৌরসভার (Panihati Municipality) 16 নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকা। এখানেই স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রাজা জানা। বেশিদিন হয়নি এই দম্পতি এখানে এসেছেন। দম্পতির এক ছেলে এবং মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই। তারপরও তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হত না। দাম্পত্য কলহ প্রায় লেগেই থাকত। যা চরমে উঠেছিল বৃহস্পতিবার সকালে।
অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের মধ্যেই রাজা লক্ষ্মীর গলা টিপে ধরেন। এরপর স্ত্রীর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের পর সটান খড়দা থানায় চলে যান তিনি। এরপর, খুনের ঘটনাটি থানার দারোগা-কে খুলে বলেন। প্রথমে তাঁর কথায় অবাক হলেও পরে পুলিশ পাঠিয়ে এর সত্যতা খুঁজে পান দারোগাবাবু। সমগ্র ঘটনায় স্তম্ভিত এবং হতবাক নিহতের পরিবার। খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের বিষয়টি চাক্ষুষ করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: হানিট্র্যাপে ফাঁসিয়ে প্রভাবশালীদের থেকে কোটি কোটি টাকা আদায়, তদন্তে ইডি
আর তাতেই মিলে যায় ব্যাক্তির কথার সত্যতা। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় শেষে গারদে জায়গা হয় খুনী স্বামীর। সেই সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রী লক্ষ্মী জানা (45)-র নিথর দেহ উদ্ধার করে। পরে তা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়দা থানার পুলিশ। অন্যদিকে, দাম্পত্য কলহের জেরেই কি এই খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে খড়দা থানার পুলিশ (Khardaha Police)। ঘটনার পর ভাড়াটিয়ার ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।