দার্জিলিং, 16 নভেম্বর: বেঙ্গল সাফারি পার্কে শোকের ছায়া ৷ সঙ্গী উর্মিলাকে একা করে দিয়ে চলে গেল কুনকি হাতি লক্ষ্মী ৷ তার মৃত্যুতে শোকাহত বেঙ্গল সাফারি পার্কের সকল আধিকারিক এবং কর্মীরা ৷ শুক্রবার রাতে 68 বছর বয়সে বেঙ্গল সাফারি পার্কেই মৃত্যু হয়েছে পূর্ণবয়স্ক হাতিটির ৷ বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ৷
জানা গিয়েছে, 2009 সালে উত্তরপ্রদেশের শোনপুর থেকে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল লক্ষ্মীকে ৷ এরপর জলদাপাড়াতেই দীর্ঘ একটা সময় কাটিয়েছে সে ৷ জলদাপাড়ায় পর্যটকদের সাফারির পাশাপাশি, একাধিক উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান-সহ একাধিক দুঃসাহসিক অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই কুনকি হাতিটি ৷
2016 সালে বেঙ্গল সাফারি পার্ক তৈরি হলে লক্ষ্মীকে নিয়ে আসা হয় এখানে ৷ তাকে দিয়েই সূচনা হয় হাতি সাফারির ৷ তবে, তার দুঃসাহসিক অভিযান থেমে থাকেনি ৷ বেঙ্গল সাফারি পার্কেও একাধিক অভিযানে সামিল করা হয়েছিল লক্ষ্মীকে ৷ 2019 সালে বেঙ্গল সাফারিতে চিতাবাঘ এনক্লোজার থেকে হারিয়ে যায় ৷ সেই সময়েও সার্চ অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল লক্ষ্মী ৷
কুনকি হাতিটির মৃত্যু নিয়ে রাজ্য জু অথরিটির সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "বার্ধক্যজনিত কারণেই লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ হজমের সমস্যা ছিল ৷ যে কারণে, গ্যাস্ট্রিক থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৷ তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে ৷ বন দফতরের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে লক্ষ্মী ৷ জীবনের একটা বড় সময় জলদাপাড়াতে কাটিয়েছিল সে ৷ সেখানে একাধিক অভিযানে অংশ নিয়েছিল ৷"
সাফারির ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, "বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৷ খুব শান্ত স্বভাবের হাতি ছিল ৷ খুব মায়া ছিল ওর মধ্যে ৷ সাফারিতেও একটা খুব ভালো ইতিহাস রয়েছে ৷ আমরা সবাই খুব দুঃখিত লক্ষ্মীর মৃত্যুতে ৷" তবে, কুনকি হাতির মৃত্যুর পিছনে পার্ক কর্তৃপক্ষর গাফিলতি রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে একাংশ ৷ লক্ষ্মীর মৃত্যুর পর, আজ বেঙ্গল সাফারি পার্কেই ময়নাতদন্ত হয়েছে ৷