বারাসত, 7 নভেম্বর : চিকিৎসায় গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বারাসতের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে । সঠিক তদন্তের দাবিতে ওই নার্সিংহোমে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে । এর জেরে সাময়িক প্রভাব পড়ে চিকিৎসা পরিষেবাতেও।
পরিবারের বক্তব্য, প্রসবের পর মা ও সন্তান দু'জনেই সুস্থই ছিল বলে জানিয়েছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শুধুমাত্র কর্তব্যরত নার্সের গাফিলতির জন্য সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে ।CCTV ফুটেজে কর্তব্যে গাফিলতির সেই ছবিও ধরা পড়েছে । কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে অভিযুক্ত নার্স ডলি দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর ।
দু'দিন আগে বারাসত বিধান পার্কের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাঁকে যশোর রোডের ধারে ওই নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় । ওই দিন রাতেই তিনি এক সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর সামান্য শ্বাসকষ্ট ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। সদ্যোজাত সুস্থই ছিল। সেই কথা জানানো হয়েছিল পরিবারকে। শ্বাসকষ্ট থাকায় সদ্যোজাতকে CCU ইউনিটে রাখা হয়। সেখানেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন ডলি দাস নামে এক নার্স। অভিযোগ,ডিউটি থাকা সত্ত্বও বেশিরভাগ সময় তিনি সেখানে ঘুমিয়ে কাটান। এরপর ভোরের দিকে ঘুম থেকে উঠে ওই নার্স লক্ষ্য করেন, সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে ।
পরদিন মৃত্যুর কারণ জানতে CCTV ফুটেজ দেখতে চাওয়া হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু, প্রথমে তা দেখাতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ।পরে তা দেখতে দেওয়া হয় ।সেখানেই কর্তব্যরত ওই নার্সের গাফিলতি ধরা পড়ে বলে অভিযোগ। এরপরই ওই নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ।দফায় দফায় চলে সেই বিক্ষোভ।পরে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মৃতের বাবা দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন,"শুধু ওই নার্সকে সাসপেন্ড করলেই হবে না। বন্ধ করতে হবে নার্সিংহোম । তা হলেই আর কোনও মায়ের কোল খালি হবে না। আমার স্ত্রী এখনও জানে না ঘটনার কথা । জানলে কা হবে তা বুঝতে পারছি না"।
নার্সিংহোমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অফিসার P K সাহা বলেন,"CCTV ফুটেজ দেখতে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ ঠিক নয়।CCTV ফুটেজে ওই নার্সের কর্তব্যে গাফিলতি ছবি ধরা পড়েছে।সেই কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করেছে।এর বেশি বলার এক্তিয়ার আমার নেই।"