পুরুলিয়া, 27 মে : গ্রিন জ়োনেও বসছে কোরোনার থাবা ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোরোনা সংক্রমণ হলেও গ্রিন জ়োনে ছিল পুরুলিয়া ৷ সেখানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক ৷ তবে আজ ফের এক কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল বলরামপুরের সরাই ময়দান গ্রামে ৷
আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বলরামপুর এলাকায় ৷ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারানটিনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷ তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যও পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ৷
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ড ঘেষা বলরামপুরের সরাইময়দান গ্রামের ওই বাসিন্দা লাক্ষা চাষের সঙ্গে যুক্ত ৷ ব্যবসা সূত্রেই ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে ৷ এছাড়া ওই ব্যক্তির কয়েকজন আত্মীয়ও ঝাড়খণ্ডে থাকেন ৷
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালেই কর্মসূত্রে এবং পারিবারিক সূত্রে ঝাড়খণ্ডে যাতায়াত করেছিলেন ওই ব্যক্তি ৷ এরপরই 23 মে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান ৷ সেখানেই তাঁর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি ৷
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে নতুন আক্রান্তের খবর পৌঁছাতেই তড়িঘড়ি তাঁর পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয় ৷ ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্র ফেরত পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর 1 নম্বর ব্লকের বাঘাডাবর গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন কোরোনা ভাইরাসে ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, 19 মে মহারাষ্ট্র থেকে পুরুলিয়ায় ফেরেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ এরপরই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট আসে ওই ব্যক্তি কোরোনায় আক্রান্ত ৷ খবর পেতেই ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা সকলকে কোয়ারানটিনে রাখা হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দুর্গাপুরের সনকা কোভিড-19 হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ৷
গ্রিন জোন পুরুলিয়া জেলায় পর পর এই দুটি কোরোনা আক্রান্তের ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে ৷