কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: আবারও রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে জটিলতা। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে উপাচার্যের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে আগেই ৷ কিন্তু এখনও রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি আচার্যের তরফে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ বৃহস্পতিবার নিউটাউনে ভাষা মেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল উদ্বেগের সুর। আইনি পরামর্শ নিয়ে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মতামত রাখতে পারে রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসু বলেন, "আমরা আশাবাদী, সবকটা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ হয়ে যাবে। অকারণে বিলম্বিত হবে না ৷ কারণ এই বিলম্বের কোন অর্থ নেই। বিলম্ব করার মানে হল সুপ্রিম কোর্টকে অগ্রাহ্য করা ৷ আগামী মাসে শীর্ষ আদালতে ফের শুনানি রয়েছে ৷ আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে এই বিষয়ে অবশ্যই কিছু বলতে পারি ।"
উপাচার্য নিয়োগকে ঘিরে রাজভবন ও রাজ্যের সংঘাত নতুন নয়। সেই সংঘাতে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ না করেই একাধিক অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ ছিল আচার্য তথা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে মুখ থুবড়ে পড়ে রাজভবন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি কমিটি তৈরি করা দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটি তিন জনের নামের তালিকা পছন্দ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিল। সেখান থেকে নাম বাছাই করে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়ে দেন আচার্যকে। তারপরেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 36টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম রাজভবনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তের রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে মাত্র 14 জন স্থায়ী উপাচার্যকে ৷ কেন মুখ্যমন্ত্রী নাম পাঠানোর পরেও বিলম্ব করছে রাজভবন ? এই বিষয়েই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য্য রেখেছেন, তিনি সৌজন্য দেখিয়েছেন। আমরা চাইব, এই নিয়োগগুলি তাড়াতাড়ি হয়ে যাক। যে অচলা অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছিল, সেখানে কাজ আবার শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাকি আছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এই ধরনের যথেষ্ট বাধা সয়েছি ৷ কিন্তু আমরা চাইব যাতে আর দেরি না হয়।"