চন্দ্রকোনা , 28 জুলাই : চন্দ্রকোনায় বেড়েই চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । চন্দ্রকোনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায়ই এই খবর শোনা যাচ্ছে l এরই মধ্যে কোরোনা আতঙ্কে প্রায় 20 ঘন্টা ধরে বাড়িতে পড়ে রইল দেহ । যদিও শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাহ কাজ শুরু হয় । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালিমাবাড়ি গ্রামের ঘটনা ।
দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ডালিমাবাড়ি গ্রামের অমিয় ভট্টাচার্য । হঠাৎ সোমবার বিকেলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল । তারপর বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয় । এরপর ডালিমবাড়ি গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায় । এলাকাবাসীদের দাবি , যেহেতু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন , তাই তাঁর আগে কোরোনা পরীক্ষা করা হোক । তারপর দাহ কাজ সম্পন্ন হবে । গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও প্রশাসন বা স্থানীয় নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করেনি l
তাই সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল দশটা পর্যন্ত বাড়িতেই ওই ব্যক্তির দেহ পড়েছিল । খবর পেয়ে আসে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ l এলাকাবাসীরা দাবি জানাতে থাকে, যেহেতু ওই ব্যক্তি কোরোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন , সেক্ষেত্রে আগে ওই ব্যক্তির কোরোনা পরীক্ষা করাতে হবে । তারপর দাহ কাজ করা হোক । অন্যদিকে , পালটা যুক্তি দিয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ বলে, মৃত ব্যক্তির কোরানা পরীক্ষা করা যাবে না । তাই দাহ কাজ করাতে হবে l এই নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলে l অনেক বোঝানোর পর ওই ব্যক্তির দাহ কাজ শুরু হয় ।
পুলিশ সূত্রে খবর , যারা এই দাহ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল , অবিলম্বে তাদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে ।
পরিবারের এক সদস্যে দাবি , ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী , মূলত জন্ডিস ও টাইফয়েডের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু গ্রামের লোক কোরোনার ভয় দেখিয়ে তাদের উপর কাল থেকে অত্যাচার করছে l কিছুতেই দাহ করতে দিচ্ছে না । একইরকমভাবে কাল থেকে দেহ পড়ে রয়েছে । অবশেষে , আজ পুলিশের হস্তক্ষেপে দেহ দাহকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ।