রায়গঞ্জ, ১০ মার্চ : অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বাড়িতে অভিযান চালালো বিহার পুলিশ। ওই নেতার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক গোলমাল হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থানে ছুটে যায়। বিহারের কিষাণগঞ্জ থানার অন্যান্য আধিকারিকরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ASI রঞ্জন শর্মাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং তাঁকে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচোকার গরধাপ্পা গ্রামে।
পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য সাহেবা বেগমের স্বামী গোলাম মুস্তাফা জেলা INTTUC-র সহ সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, বিহারে নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত গোলাম। গতকাল বিহারের কিষাণগঞ্জ থানার পুলিশ গোলামের বাড়িতে তাঁকে ধরতে যায়। সেসময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক গন্ডগোল হয়। অভিযোগ, বিহার পুলিশ ওই নেতার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের আসতে দেখে বিহার পুলিশ গাড়িতে চেপে পালানোর চেষ্টা করে। সবাই পালিয়ে গেলেও ASI রঞ্জন শর্মাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে তাঁকে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গোলাম বলেন, "বিহারে আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। বিনা ওয়ারেন্ট, বিনা ইউনিফর্মে বিহার পুলিশ আমাকে ধরতে এসেছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেওয়ায় ওরা ঘরের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।"
অন্যদিকে, বিহারের কিষাণগঞ্জ থানার ASI রঞ্জন শর্মা বলেন, "কিষাণগঞ্জ থানার সব পুলিশ আধিকারিকরা এসেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তের বাড়ির লোক ভেবেছিল চোর ডাকাত এসেছে। কিন্তু তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়নি।"
পাঞ্জিপাড়ার থানার IC নন্দন কুমার জানিয়েছেন, "বিহার পুলিশ আমাদের কিছু না জানিয়েই স্থানীয় গোলাম মুস্তাফার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। বিহার পুলিশ দাবি করলেও আমাদের কাছে গোলাম মুস্তাফার নামে কোনও অভিযোগ নেই। ঘটনার তদন্ত চলছে।"