ETV Bharat / state

Assembly Bye-Election : শান্তিপুরে ফুলের লড়াই

author img

By

Published : Oct 27, 2021, 8:13 PM IST

বিধানসভা নির্বাচনের সময় গেরুয়া হাওয়া ৷ পাঁচমাস পর শান্তিপুরে কোন পথে বইছে রাজনৈতিক হাওয়া ? বিজেপি কি ধরে রাখতে পারবে আসন ? নাকি উপনির্বাচনে ফুটবে ঘাসফুল ? লড়াইয়ের ময়দানে কতটা রয়েছে বাম ও কংগ্রেস ? লিখছেন সুরজিৎ দাস ৷

last day of campaign at santipur for assembly by-poll
Assembly Bye-Election : শান্তিপুরে শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী সব পক্ষ

শান্তিপুর, 27 অক্টোবর : আগামী 30 অক্টোবর রাজ্যের যে চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে অন্যতম নদিয়ার শান্তিপুর ৷ জনসংযোগে কোনও খামতি রাখেনি কোনও দল ৷

আরও পড়ুন : West Bengal By-Poll : আসন ধরে রাখার লড়াই তৃণমূলের, গোসাবায় মাটি কামড়ে লাল-গেরুয়াও

এই উপনির্বাচনে মূলত চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে শান্তিপুরে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন শান্তিপুরের ভূমিপুত্র, রাজনীতিতে নতুন মুখ ব্রজকিশোর গোস্বামী ৷ অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক যোদ্ধা, এলাকারই বাসিন্দা নিরঞ্জন বিশ্বাস ৷ শান্তিপুরের উপনির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেস আলাদাভাবে লড়াই করছে ৷ একদিকে রয়েছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী সৌমেন মাহাত, অন্যদিকে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল ৷ এঁরাও শান্তিপুরেরই মানুষ ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার 16 হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন ৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অজয় দে ৷ কিন্তু, সাংসদ পদে থাকায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন জগন্নাথ ৷

উপনির্বাচনে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে রাখতেই আনকোরা ব্রজকিশোরকে প্রার্থী করেছে তারা ৷ গোস্বামী বাড়ির ছেলেকে প্রার্থী করায় হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশই তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে তাতে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভোটকুশলীর ৷ যদিও ব্রজকিশোর নিজে এই যুক্তি মানতে নারাজ ৷

শান্তিপুরে ফুলের লড়াই

অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস নিজের জয় নিয়ে 100 শতাংশ নিশ্চিত ৷ তাঁর বক্তব্য, মূল নির্বাচনী পর্বে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল 16 হাজারেরও বেশি ৷ তাই উপনির্বাচনেও গেরুয়া প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ৷ যদিও এই অঙ্ক মানতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা ৷ কারণ সূত্রের দাবি, জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৷ যা নিরঞ্জনের সমস্যা বাড়াতে পারে ৷

আরও পড়ুন : WB ByPolls : উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই থাকছে সিসিটিভির ব্যবস্থা, সুষ্ঠ ভোট করাতে মরিয়া কমিশন

বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন দীর্ঘদিনের রাজনীতির কারবারি এবং এলাকার পরিচিত মুখ সৌমেন মাহাত ৷ একটা লম্বা সময় ধরে তিনি ছিলেন শান্তিপুরের কাউন্সিলর ৷ ফলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এলাকায় তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি ৷ সৌমেনের আশা, এই উপনির্বাচন থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে বামেরা ৷ আর কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে রাজু পালকে ৷ তিনিও রাজনীতির পুরনো খেলোয়াড় ৷ তবে এলাকায় কংগ্রেসের প্রভাব কমায় তাঁকে নিয়ে অতটা মাথাব্যথা নেই রাজনৈতিক মহলের ৷

শান্তিপুর, 27 অক্টোবর : আগামী 30 অক্টোবর রাজ্যের যে চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে অন্যতম নদিয়ার শান্তিপুর ৷ জনসংযোগে কোনও খামতি রাখেনি কোনও দল ৷

আরও পড়ুন : West Bengal By-Poll : আসন ধরে রাখার লড়াই তৃণমূলের, গোসাবায় মাটি কামড়ে লাল-গেরুয়াও

এই উপনির্বাচনে মূলত চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে শান্তিপুরে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন শান্তিপুরের ভূমিপুত্র, রাজনীতিতে নতুন মুখ ব্রজকিশোর গোস্বামী ৷ অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক যোদ্ধা, এলাকারই বাসিন্দা নিরঞ্জন বিশ্বাস ৷ শান্তিপুরের উপনির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেস আলাদাভাবে লড়াই করছে ৷ একদিকে রয়েছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী সৌমেন মাহাত, অন্যদিকে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল ৷ এঁরাও শান্তিপুরেরই মানুষ ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার 16 হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন ৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অজয় দে ৷ কিন্তু, সাংসদ পদে থাকায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন জগন্নাথ ৷

উপনির্বাচনে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে রাখতেই আনকোরা ব্রজকিশোরকে প্রার্থী করেছে তারা ৷ গোস্বামী বাড়ির ছেলেকে প্রার্থী করায় হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশই তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে তাতে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভোটকুশলীর ৷ যদিও ব্রজকিশোর নিজে এই যুক্তি মানতে নারাজ ৷

শান্তিপুরে ফুলের লড়াই

অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস নিজের জয় নিয়ে 100 শতাংশ নিশ্চিত ৷ তাঁর বক্তব্য, মূল নির্বাচনী পর্বে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল 16 হাজারেরও বেশি ৷ তাই উপনির্বাচনেও গেরুয়া প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ৷ যদিও এই অঙ্ক মানতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা ৷ কারণ সূত্রের দাবি, জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৷ যা নিরঞ্জনের সমস্যা বাড়াতে পারে ৷

আরও পড়ুন : WB ByPolls : উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই থাকছে সিসিটিভির ব্যবস্থা, সুষ্ঠ ভোট করাতে মরিয়া কমিশন

বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন দীর্ঘদিনের রাজনীতির কারবারি এবং এলাকার পরিচিত মুখ সৌমেন মাহাত ৷ একটা লম্বা সময় ধরে তিনি ছিলেন শান্তিপুরের কাউন্সিলর ৷ ফলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এলাকায় তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি ৷ সৌমেনের আশা, এই উপনির্বাচন থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে বামেরা ৷ আর কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে রাজু পালকে ৷ তিনিও রাজনীতির পুরনো খেলোয়াড় ৷ তবে এলাকায় কংগ্রেসের প্রভাব কমায় তাঁকে নিয়ে অতটা মাথাব্যথা নেই রাজনৈতিক মহলের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.