কাঠমাণ্ডু, 30 সেপ্টেম্বর: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপাল ৷ বন্যা ও ধসের কারণে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ৷ সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে কমপক্ষে 192 জন ৷ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ কমপক্ষে 30 জন ৷ সেই সঙ্গে, গুরুতর আহত অন্তত 94 জন ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷
শুক্রবার ও শনিবার একটানা ভারী বৃষ্টিতে নেপালে এই বিপর্যয় নেমে আসে ৷ কাঠমাণ্ডুর প্রধান নদী বাগমতীর জলস্তর ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ ফলে জলের তলায় চলে যায় পূর্ব ও মধ্য নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ সেই সঙ্গে, হড়পা বানের জেরে নেপালের বাকি এলাকাগুলিতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে ৷
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়েছে, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার ও নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ৷ দেশের প্রতিটি কোনায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাজ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ৷ এখনও পর্যন্ত 4 হাজার 500 জনেরও বেশি বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সরকার ৷
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বাগমতী নদী ও উপনদীগুলি ৷ যার ফলে রাজধানী শহরের একাধিক শহরে ধস নেমেছে ৷ কাঠমাণ্ডুর সঙ্গে কার্যত সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রাস্তায় ধস নামার কারণে ৷
DEATH TOLL CLIMBS AS TORRENTIAL RAINS POUND NEPAL
— ICIMOD (@icimod) September 28, 2024
As three days of heavy rain brings loss of life and widespread destruction, scientists point to haphazard development’s role in amplifying climate change risks in Himalayan nation.
After rainfall exceeding 340mm fell in under… pic.twitter.com/H8kfTEgL8E
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমওডি) এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং তার অবস্থানের কারণে দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে ৷ শনিবার কাঠমান্ডুতে 24 ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে 323 মিলিমিটার, যা গত 54 বছরে হয়নি ৷ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেশে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ৷
বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এশিয়া জুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সময়ে পরিবর্তন হয়েছে ৷ বন্যার প্রভাব বৃদ্ধির একটি মূল কারণ হল জলবায়ুর এই পরিবর্তন ৷