শান্তিপুর, 30 এপ্রিল: প্রথম বিবাহ বার্ষিকী । কিন্তু তা বাড়িতে পালন নয় । লকডাউনের এই সময়ে প্রত্যন্ত গ্রামে দুস্থদের হাতে খাবার তুলে দিয়ে বিবাহ বার্ষিকীর দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি । সেইমতো শান্তিপুরের একটি গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকজন গরিব মানুষের হাত খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ।
শান্তিপুরের বাসিন্দা সুরজিৎ দাস ও মাম্পি দাস । আজ তাঁদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী । প্রথমে বাড়িতেই এই দিনটি পালনের কথা ভেবেছিলেন তাঁরা । পরে মত পালটান । বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যে টাকা খরচ হত বাড়িতে তা দিয়ে দুস্থ মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । সুরজিৎ একটি স্থানীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । তাঁর ইচ্ছার কথা সংগঠনেও জানান । সংগঠনের তরফেও তাঁদের এই উদ্যোগকে একবাক্যে মেনে নেওয়া হয় । সেইমতো আজ সুরজিৎ, মাম্পি ও সংগঠনের তরফে বেশ কয়েকজন শান্তিপুর তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার একটি আদিবাসী গ্রামে গিয়ে সেখানকার দুস্থ মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ।
ওই এলাকায় গিয়ে 108 বছর বয়সি বৃদ্ধার আশীর্বাদ নিয়ে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে দু'জন দু'জনকে মালা বদল করতেও দেখা যায় । কোরোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন জারি থাকার কারণে অনেকেরই কাজ বন্ধ । অনেকেই খাদ্য সংকটে পড়েছেন । সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা । এই অবস্থায় অনেককেই সেইসব মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে । সুরজিৎ ও মাম্পিও এই সংকটকালীন সময়ে বাড়িতে বিবাহ বার্ষিকী পালন না করে সেই টাকায় দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন পরিবারের সদস্যদের কাছে । পরিবারের তরফে সম্মতি মেলে । সেইমতো আজ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন দুস্থ মানুষদের মধ্যে ।
সুরজিৎ জানান, " যাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ তাঁরা কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছেন । তাঁদের একবেলা খাবার জুটছে না । তাই তাঁদের সামান্য কিছু সাহায্য করার উদ্দেশেই আমাদের এই চিন্তাভাবনা ।"