রানাঘাট, 19 ডিসেম্বর: ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে 7 বছরের সাজা দিল রানাঘাট আদালত ৷ পুলিশ চাইলে সব সম্ভব, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ। দোষীকে নজিরবিহীন শাস্তির জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানিরাজ। রানাঘাট থানার আইসি-সহ মহিলা থানার ভূমিকাও উল্লেখ করা দরকার।
জানা গিয়েছে, 2020 সালের জুন মাসে রানাঘাট মহিলা থানার অন্তর্গত সুকুমার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ৷ পুলিশ প্রথমে অভিযুক্তকে আটক করে। পরে পকসো ধারায় মামলা শুরু হয়। গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত। এরই মধ্যে নির্যাতিতা-সহ তার পরিবার বাংলাদেশে চলে যায়। তাই অনেকদিন মামলাটির বিচার থমকে ছিল ।
চলতি বছরের 14 এবং 28 অগস্ট ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি হয়। বাংলাদেশ থেকে সেই শুনানিতে অংশ নেয় নির্যাতিতা ও তার পরিবার। সবমিলিয়ে 11 জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। শেষমেশ গতকাল, বুধবার দোষীর 7 বছরের সাজা ঘোষণা করে রানাঘাট আদালত। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির সময় যাতে নির্যাতিতা এবং তার পরিবার হাজির থাকতে পারে তার জন্য তৎপর হয়েছিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানিরাজ। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁর সাহায্যে বাংলাদেশে থাকা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষী দেয় নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এই প্রথম ভার্চয়াল মাধ্যমে সাক্ষী গ্রহণ করল রানাঘাট এডিজে কোর্ট। এরপর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
- সরকারি আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভদ্র বলেন, "নাবালিকার সঙ্গে যে অপরাধ হয়েছে তার বিচার পাইয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য ছিল ৷ বিরলতম পদ্ধতিতে এই মামলার শুনানি হয়েছে । ন্যায় বিচার পেয়েছে নির্যাতিতা।"
- অন্যদিকে, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী শুভেন্দু ঘোষের দাবি, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ৷ জমি নিয়ে একটি বিবাদের কারণে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ 6 নম্বর ধারায় চার্জ গঠন হলেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে 10 নম্বর ধারায় ৷ আগামিদিনে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী।