মুর্শিদাবাদ, 9 মে: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত গ্রাম বাংলার মতামত কেন্দ্রে ফের বিশৃঙ্খলা ছড়াল । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে পঞ্চায়েত প্রার্থী নির্বাচনে ভোটদান প্রক্রিয়া চলছিল সেখানে ৷ সেই সময়ে ভরতপুর ব্লকের জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলবদন মাঝি ও তৃণমূলের নেতা সায়ের আলি ব্যালট বক্স ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ । এমনকী তাঁবু ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ । ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ।
বুথ সভাপতি আলমগীর শেখের বক্তব্য, ভরতপুর 1 নম্বর ব্লকের কালোগ্রাম অঞ্চলের তাঁবু 3-এ ব্যলটে ভোট চলছিল । এক ব্যক্তি ভোট দিতে এসে জানান তিনি লিখতে পারেন না । তাঁর ভোটটা লিখে দিতে অনুরোধ করেন । সেই লেখাকে কেন্দ্র করে বাধে গোল । এরপরেই ভরতপুর 1 নম্বর অঞ্চল সভাপতি নিসারুদ্দিন শেখ সেখানে আসেন এবং ভোট প্রক্সি দেওয়া হচ্ছে বলে ঝামেলা সৃষ্টি করেন । তাদের লোকজন চড়াও হয় এবং ব্যলট ছুড়ে ফেলে দেয় । তৃণমূলের হলেও সেখানে দুটি গোষ্ঠী রয়েছে ৷ নিসারুদ্দিনের অপরপক্ষ হলেন টারজেন সাহেব । ঘটনাকে কেন্দ্র কের উভয়পক্ষের কর্মীরা লড়াই শুরু করেন ।
তার কিছুক্ষণ বাদেই বড়ঞাঁর কল্যাণপুর এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁবুতে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই পক্ষের মারামারি শুরু হয় । ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিষেকের সভা শুরুর আগে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। রবিবার সন্ধেতেও বহরমপুর স্টেডিয়ামে চারটি অঞ্চল রামপাড়া, ভাবতা 1, মহুলা 1, আন্দুলিয়ার তাঁবুতে রীতিমত হাতাহাতি চলে, চেয়ার ভাঙা, ব়্যাফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, আইপেকের সঙ্গে সাংবাদিকদের ধাক্কাধাক্কি । সেরকম মুর্শিদাবাদের সোমবার অন্তিম দিনেও অভিষেকের মঞ্চে ওঠার আগে চলে হাতাহাতি মারামরি, ব্যলোট ভাঙচুর । শেষমেষ এখানেও পুলিশকে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় । অবশ্য অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মঞ্চে ওঠার আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার পরেই ব্যালট লুট তৃণমূল কর্মীদের, অস্বস্তিতে দল
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার কুলিতে ইন্দিরা ময়দানে তাঁবু করা হয় । গ্রাম বাংলার মতামত নামক এক নতুন কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগের কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট যে কোনও দিন ঘোষণা হতে পারে। এবারে অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী ভোটারদের মতামত নিয়েই প্রার্থী দেওয়া হবে। যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসন অধিগ্রহণ করতে পারে শাসকদল ।
আরও পড়ুন: মালদায় প্রার্থী নির্বাচনের ভোটে তৃণমূলের অন্তর্কলহ, মারামারি ও ভাঙচুরে ব্রাত্য সাধারণ মানুষ