দার্জিলিং, 23 ডিসেম্বর: শৈলরানিতে নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনা ৷ অজয় এডওয়ার্ডসের 'হামরো পার্টি' এখন অতীত ৷ রবিবার দার্জিলিঙের জিমখানা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পথ চলা শুরু করল ‘ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্ট’। নতুন দলের পতাকাও এদিন উন্মোচন করা হয়। সবুজ ও নীল রঙের পতাকাতে একটি খুকরি ও তারা রয়েছে।
নতুন এই দলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-নেত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন ৷ প্রাক্তন জিটিএ সদস্যরা তথা পাহাড়ের পরিচিত রাজনৈতিক মুখ প্রদীপ প্রধান, এনবি খাওয়াস, প্রকাশ গুরুং, মহেন্দ্র ছেত্রী, সারদা রাই সুব্বা-সহ একাধিক নেতা এদিন নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। পাহাড়কে নিয়ে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখেই নতুন রাজনৈতিক দল কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ডস।
পাহাড়ের সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দাবি নিয়েও জিটিএ-সহ জেলা প্রশাসনের ওপরে চাপ সৃষ্টির কাজ করবে নতুন এই নতুন দল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা আগামীতে পাহাড়ের কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক পুরসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দলের আত্মপ্রকাশ পাহাড়ের শাসক দলের ওপর চাপ বাড়াবে।
অজয় এডওয়ার্ডস বলেন, "পাহাড়বাসীর উন্নয়নের কথা ভেবেই নতুন এই দলের পথচলা শুরু হল। আমাদের লক্ষ্য গোর্খাল্যান্ড। আর কিছু আলাদা দাবি রয়েছে ৷ খুব দ্রুত সেই দাবিসমূহ প্রকাশ করা হবে।"
প্রসঙ্গত, 2021 সালের 25 নভেম্বর হামরো পার্টি নাম দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন অজয় এডওয়ার্ডস। এমনকি দার্জিলিং পুরসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করেছিল দলটি। কিন্তু খুব বেশিদিন দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি হামরো পার্টি। অনীত থাপার নেতৃত্বে বিজিপিএম গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ক্ষমতা দখলের পরেই দার্জিলিং পুরসভায় হামরো পার্টির কাউন্সিলারদের ভাঙিয়ে বোর্ড দখল করে অনীত থাপা শিবির।
পরবর্তীতে হামারো পার্টি জিটিএ ভোটে আটটি আসনে জয়ী হলেও বেশিরভাগটাই অনীতদের পক্ষে চলে এসেছে। সেই সময় থেকেই হামরো পার্টির পতন শুরু হয়। অন্যদিকে, একাধিক কারণে নির্বাচন কমিশনও হামরো পার্টিকে রেজিস্ট্রেশন দিতে অস্বীকার করে। সেই থেকেই প্রায় এক বছর ধরে অজয় নতুন দল তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত রবিবার পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করল নতুন দল ‘ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্ট’।