মালদা, 13 জুন : দুই নার্সের পর এবার মালদা মেডিকেলে কর্মরত 26 বছরের এক নিরাপত্তাকর্মীর শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ বর্তমানে ওই কর্মী মেডিকেলের লেডিজ় হস্টেলে কর্মরত ছিলেন৷ তাঁর বাড়ি মালদা শহরের বালুচর এলাকায়৷ আজ মেডিকেলের তরফে রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ পৌরসভার পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি ওই এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়৷
ওই কর্মী ফোনে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই মালদা মেডিকেলে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছি৷ এর আগে ব্লাড ব্যাঙ্ক, মাতৃ-মা সহ বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি করেছি৷ সম্প্রতি আমার ডিউটি পড়েছিল লেডিজ় হস্টেলে৷ কয়েকদিন আগে একটু জ্বর হয়৷ সেকথা জানানো হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লালারস পরীক্ষা করাই৷ মঙ্গলবার থেকে আমি বাড়িতেই রয়েছি৷ আজ রিপোর্ট আসলে জানা যায়, আমি কোরোনা সংক্রামিত৷ সাম্প্রতিক সময়ে আমি কোথাও যাইনি৷ কোথা থেকে সংক্রমণ আমার শরীরে ছড়াল বুঝতে পারছি না৷”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “সরকারি নিয়ম মেনে মেডিকেলের সংক্রামিত নিরাপত্তাকর্মীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ তবে ভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷”
এদিকে স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 24 ঘণ্টায় জেলার মোট 9 জন কোরোনা সংক্রামিত হয়েছেন বলে রিপোর্ট এসেছে৷ তার মধ্যে 5 জনই হবিবপুর ব্লকের বাসিন্দা৷ বাকি 6 জনের মধ্যে চাঁচল 1 ব্লকের দু’জন, চাঁচল 2 ব্লকের তিনজন ও ইংরেজবাজার ব্লকের একজন রয়েছেন৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই জেলায় মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 261৷ আক্রান্তদের মধ্যে শতাধিক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে৷