কলকাতা, 19 নভেম্বর: সমরেশ মজুমদারের 'হিরে বসানো সোনার ফুল' অবলম্বনে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় শুরু হল 'চ্যাটার্জি বাড়ির মেয়েরা'। পরিচালনায়-সুশান্ত বসু। 18 নভেম্বর থেকে সোম থেকে শনি সন্ধে 7টায় সম্প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক। নারী স্বাধীনতার জয় গান উঠে আসতে চলেছে ধারাবাহিকের গল্পে।
গল্পের শুরু দক্ষিণ কলকাতার শহরতলিতে থাকা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী সমরেশ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে। মধ্যবিত্ত মানুষের ছাপোষা সংসার। পরিবারের সদস্য বলতে তার স্ত্রী সন্ধ্যা,পুত্র সুবীর, পুত্রবধূ রঞ্জনা এবং কন্যা তিতির। রঞ্জনা সাধারণ গৃহবধূ। একটু মুখচোরা, অনেকটাই রক্ষণশীল। চার বছর আগে সুবীরকে ভালোবেসে বিয়ে করে এই বাড়িতে আসা থেকে চার দেওয়ালের মধ্যেই তাঁর জীবন কাটছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামীর সেবা আর মাঝে মাঝে সিরিয়াল দেখা এই হল রঞ্জনার জগত।
উল্টোদিকে রঞ্জনার ননদ তিতির এমএ পাশ করে চাকরি খুঁজছে হন্যে হয়ে। বাড়ির লোকের ইচ্ছে এবার তিতির বিয়ে করে সংসারী হোক। তিতিরের বয়ফ্রেন্ড অনীকেরও তাই ইচ্ছে। কিন্তু তিতির ভীষ্মের মতো প্রতিজ্ঞা করে বসে আছে নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে কিছুতেই সে বিয়ে করবে না। অতএব বাড়িতে ও বাইরে নিত্য অশান্তি। এমন সময় হঠাৎই তিতিরের সঙ্গে দেখা হয় ছোটবেলার বন্ধু সুবর্ণার। বন্ধুর হাত ধরে নামা অভিনয়ের জগতে ৷
প্রায় একই সময় তিতিরের বউদি রঞ্জনার জীবনেও একটা বড় পরিবর্তন আসে। একদিন রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায় রঞ্জনা ৷ সেখানে দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধু উপাসনার সঙ্গে। তার কোম্পানিতে তিতিরের উৎসাহে চাকরি নিয়ে নেয় সে। জীবনের স্বাদ নিয়ে গিয়ে সবকিছু ওলট-পালট হতে থাকে ৷
চ্যাটার্জি বাড়ির মেয়েদের জীবনের ওঠা-পড়া, চড়াই-উৎরাই যেন আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের কথাই বলে ৷ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন স্নেহা দেব (তিতির), পায়েল দত্ত (রঞ্জনা), দেবাশিস রায়চৌধুরী (সমরেশ), বিমল গিরি (সুবীর), অস্মিতা মুখোপাধ্যায় (উপাসনা), বর্ণিনী চক্রবর্তী (সুবর্না), শুভঙ্কর (অনীক) প্রমুখ।