ETV Bharat / state

ক্লাসরুমে বিয়ে-কাণ্ডে পরোক্ষে রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী - BRATYA BASU

শিক্ষামন্ত্রী মনে করন, ঘটনাটি একেবারেই রুচি সম্মত নয়। তবে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত উপাচার্য দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত এমন হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

BRATYA BASU
বিয়ে-কাণ্ডে রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন ব্রাত্য (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 30, 2025, 10:36 PM IST

কলকাতা, 30 জানুয়ারি: ক্লাসরুমে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে ছাত্রের বিয়ের ঘটনায় ঘুরিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেই দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপাচার্যদের যতক্ষণ না নিয়োগ করা হচ্ছে ততক্ষণ এই ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক বলেও মনে করছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "এই ঘটনা রুচি সম্মত নয়।"

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তা নিয়েই ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

বিয়ে-কাণ্ডে রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন ব্রাত্য (ইটিভি ভারত)

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "এটি একটি জোলো এবং ছেঁদো ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত উপাচার্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে ততক্ষণ সেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কার ইঙ্গিত এগুলো হচ্ছে এবং তাঁর কোনও দায় আছে কি না সেটা সকলের ভেবে দেখা উচিত। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা একদমই রুচিসম্মত নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম বা সীমারেখা থাকে। আমরা যতই আধুনিক হই সেটাকে মান্যতা দেওয়া উচিত।" যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ওই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসেছে। এমনকী তাঁকে ছুটিতেও পাঠানো হয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে আচার্য বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন নয়। আচার্য উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছিলেন। তা নিয়ে রীতিমতো তুঙ্গে ওঠে তরজা। সেই জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় আচার্যকে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি বিশেষজ্ঞ দলও তৈরি করা দেওয়া হয়েছিল।

এই বিশেষজ্ঞ দলের তরফে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখান থেকেই নাম বাছাই করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেই নাম ঘোষণা করেন আচার্য। সেই মতো রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। কেন প্রতিটি ক্ষেত্রে আচার্য এত সময় নিয়ে নাম ঘোষণা করছেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা দফতর ৷ আর এবার ক্লাসরুমে বিয়েকে হাতিয়ার করে রাজ্যপালকে ঘুরপক্ষে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ব্যারাকপুরে গান্ধিজীর প্রয়াণ দিবস পালন, এক মঞ্চে রাজ্যপাল ও পার্থ ভৌমিক

কলকাতা, 30 জানুয়ারি: ক্লাসরুমে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে ছাত্রের বিয়ের ঘটনায় ঘুরিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেই দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপাচার্যদের যতক্ষণ না নিয়োগ করা হচ্ছে ততক্ষণ এই ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক বলেও মনে করছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "এই ঘটনা রুচি সম্মত নয়।"

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তা নিয়েই ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

বিয়ে-কাণ্ডে রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন ব্রাত্য (ইটিভি ভারত)

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "এটি একটি জোলো এবং ছেঁদো ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত উপাচার্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে ততক্ষণ সেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কার ইঙ্গিত এগুলো হচ্ছে এবং তাঁর কোনও দায় আছে কি না সেটা সকলের ভেবে দেখা উচিত। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা একদমই রুচিসম্মত নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম বা সীমারেখা থাকে। আমরা যতই আধুনিক হই সেটাকে মান্যতা দেওয়া উচিত।" যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ওই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসেছে। এমনকী তাঁকে ছুটিতেও পাঠানো হয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে আচার্য বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন নয়। আচার্য উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছিলেন। তা নিয়ে রীতিমতো তুঙ্গে ওঠে তরজা। সেই জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় আচার্যকে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি বিশেষজ্ঞ দলও তৈরি করা দেওয়া হয়েছিল।

এই বিশেষজ্ঞ দলের তরফে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখান থেকেই নাম বাছাই করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেই নাম ঘোষণা করেন আচার্য। সেই মতো রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। কেন প্রতিটি ক্ষেত্রে আচার্য এত সময় নিয়ে নাম ঘোষণা করছেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা দফতর ৷ আর এবার ক্লাসরুমে বিয়েকে হাতিয়ার করে রাজ্যপালকে ঘুরপক্ষে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ব্যারাকপুরে গান্ধিজীর প্রয়াণ দিবস পালন, এক মঞ্চে রাজ্যপাল ও পার্থ ভৌমিক

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.