বলাগড়, 7 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার আমিষ খাবারের মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী । নাম না-করে ‘দুই সাংসদ ও বলাগড়ের এক কাফের নেত্রী’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি । অবশ্য বিধায়ক কারও নাম করে মন্তব্য করতে চাননি । যদিও সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ্যে এনে পালটা মনোরঞ্জনকে আক্রমণ করেছেন বলাগরের তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন ।
তাঁর দাবি, একজন বিধায়ক হয়ে দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার নেই তাঁর । যা বলার, দল বলবে । বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মেয়াদ আর মাত্র 14 মাস । তারপর তৃণমূল কর্মীরাই সম্বর্ধনা দিয়ে বিদায় জানাবে । কিন্তু, ফের বলাগরের বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সামনে উঠে এসেছে ।
সম্প্রতি আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা মন্তব্য করেন, দেশে নিষিদ্ধ হোক আমিষ খাবার । সেই প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘‘দলের এক সাংসদ সারাদেশে আমিষ খাওয়া বন্ধ করার পক্ষে আইন আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন । তৃণমূল ওই সাংসদের কথাকে সমর্থন করেনি । অথচ মজার ব্যাপার হল, বলাগড়ের এক কাফের নেত্রী ওই সাংসদের পক্ষে ব্যাট করতে নেমেছে । জানি না, বলাগড়ের মানুষ এই নেত্রীর বিরুদ্ধে কী বলবেন ৷’’
![Manoranjan Byapari Slams TMC MP](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/07-02-2025/wb-hgl-trinamoolconflictoverbalagarhmlaisopenleaderrunasfarewellmessagetomanoranjan-7203418_06022025183642_0602f_1738847202_915.jpg)
আরেকটি পোস্টে বিধায়ক লেখেন, ‘‘দুধ-কলা দিয়ে পোষা কালসাপ সুযোগ পেয়ে ফণা তুলে দাঁড়িয়েছে ।’’ সোশাল মিডিয়ায় যুদ্ধে পিছিয়ে নেই তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুনও । তিনি পোস্ট করেন, ‘‘চালুনি আবার ছুঁচের বিচার করে ! বলাগড়ের মানুষ আর মাত্র 14 মাসের অপেক্ষায় আছে, আসল কালসাপকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য । রচনা দিদি’র কিংবা শত্রুঘ্ন সিনহার মূল্যায়ন করবে না কোনও স্বঘোষিত, বহিরাগত, কু-কর্মে দীক্ষিত কোনও সাহিত্যিক ।’’
![Runa Khatun Post](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/07-02-2025/wb-hgl-trinamoolconflictoverbalagarhmlaisopenleaderrunasfarewellmessagetomanoranjan-7203418_06022025183642_0602f_1738847202_803.jpg)
তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘‘আমরা বাঙালি । আমাদের পোশাক, খাদ্যাভাস, ধর্মাচরণে বিভিন্নভাবে আক্রমণ হচ্ছে । বাঙালি হিসেবে সেখানে আমার একটা প্রতিবাদের জায়গা থাকবেই । আমি কী খাব, সেটা বহিরাগত কেউ ঠিক করে দেবে ? আমরা মাছ-ভাত খেতে ভালোবাসি ৷ বাঙালি তো সুভাষের জাতি, প্রীতিলতার জাতি, সূর্য সেনের জাতি । আমাদের তাও রক্ত গরম হয় না । আমার কাছে দল পরে, জাতি আগে ।’’
পালটা দিয়েছেন রাজ্যের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রুনা খাতুন ৷ তিনি বলেন, ‘‘দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পোষার কথা যে বিধায়ক বলেছেন, সেটাও পরোক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন । একজন বিধায়কের কোনও এক্তিয়ার বা অধিকার আছে কী সাংসদের সমালোচনা করার ? তাও কোনও সামাজিক মাধ্যমে । নিশ্চয়ই না । আমার ধর্ম নিয়ে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, সেটা এর আগেও করেছেন ।’’