ETV Bharat / state

মালদা জেলায় স্থাপিত হতে চলেছে প্রথম বৃদ্ধাশ্রম 'বেলাশেষে'

সংগঠনের পক্ষে IMA-র মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া আর্থিক অনুদানের ওপর ভিত্তি করেই এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ার পরিকল্পনা৷ প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হবে৷ কিছু ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিলেও একেবারে বিনামূল্যে কাউকে এখানে রাখা যাবে না ৷ যত কম খরচে বিপন্ন মানুষ এখানে থাকতে পারেন তার চেষ্টা করা হয়েছে । এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি মনোরঞ্জন থাকবে৷

Old age home will be built at Malda
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হচ্ছে
author img

By

Published : Feb 10, 2020, 5:09 PM IST

মালদা , 10 ফেব্রুয়ারি : জেলার প্রথম বৃদ্ধাশ্রম স্থাপিত হতে চলেছে পুরাতন মালদার মাধাইপুরে । সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব মালদা নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াসহ জেলার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ।

বৃদ্ধাশ্রমটির নাম বেলাশেষে । এখানে প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও দুটি ডরমিটারি (পাঁচজন থাকার ব্যবস্থা থাকবে) তৈরি করা হবে ৷ পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির শৌচাগার থাকবে ৷ দুপুরে ও রাতে আমিষ ও নিরামিষ খাবারের সঙ্গে থাকবে প্রাতরাশ ও বিকেলের টিফিন ৷ এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হলে কোনও দম্পতিকে এককালীন সাড়ে চার লক্ষ টাকা, একক ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ টাকা দান হিসাবে ট্রাস্টে জমা করতে হবে৷ এর সঙ্গে মাসিক খরচের টাকা জমা করতে হবে ৷ অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে এখানে ২০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার থাকার ব্যবস্থা করা হবে ৷ এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক হতে গেলে এককভাবে বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধার বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে ৷ তবে দম্পতির ক্ষেত্রে বয়সের সীমার খানিকটা হেরফের হতে পারে ৷ স্থায়ী আবাসিকদের দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে জমা দিতে হবে মাথাপিছু সাত হাজার টাকা (দম্পতির ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা) ৷ ডরমিটারির ক্ষেত্রে সেই খরচ মাসে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ৷ তবে আশ্রমে প্রবেশের সময় সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে ৷

শুনুন IMA-র মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাকের বক্তব্যা

সংগঠনের পক্ষে IMA-র মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া আর্থিক অনুদানের ওপর ভিত্তি করেই এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ার পরিকল্পনা৷ প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হবে৷ কিছু ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিলেও একেবারে বিনামূল্যে কাউকে এখানে রাখা যাবে না ৷ যত কম খরচে বিপন্ন মানুষ এখানে থাকতে পারেন তার চেষ্টা করা হয়েছে । এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি মনোরঞ্জনও থাকবে ৷

মালদা , 10 ফেব্রুয়ারি : জেলার প্রথম বৃদ্ধাশ্রম স্থাপিত হতে চলেছে পুরাতন মালদার মাধাইপুরে । সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব মালদা নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াসহ জেলার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ।

বৃদ্ধাশ্রমটির নাম বেলাশেষে । এখানে প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও দুটি ডরমিটারি (পাঁচজন থাকার ব্যবস্থা থাকবে) তৈরি করা হবে ৷ পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির শৌচাগার থাকবে ৷ দুপুরে ও রাতে আমিষ ও নিরামিষ খাবারের সঙ্গে থাকবে প্রাতরাশ ও বিকেলের টিফিন ৷ এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হলে কোনও দম্পতিকে এককালীন সাড়ে চার লক্ষ টাকা, একক ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ টাকা দান হিসাবে ট্রাস্টে জমা করতে হবে৷ এর সঙ্গে মাসিক খরচের টাকা জমা করতে হবে ৷ অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে এখানে ২০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার থাকার ব্যবস্থা করা হবে ৷ এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক হতে গেলে এককভাবে বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধার বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে ৷ তবে দম্পতির ক্ষেত্রে বয়সের সীমার খানিকটা হেরফের হতে পারে ৷ স্থায়ী আবাসিকদের দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে জমা দিতে হবে মাথাপিছু সাত হাজার টাকা (দম্পতির ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা) ৷ ডরমিটারির ক্ষেত্রে সেই খরচ মাসে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ৷ তবে আশ্রমে প্রবেশের সময় সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে ৷

শুনুন IMA-র মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাকের বক্তব্যা

সংগঠনের পক্ষে IMA-র মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া আর্থিক অনুদানের ওপর ভিত্তি করেই এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ার পরিকল্পনা৷ প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হবে৷ কিছু ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিলেও একেবারে বিনামূল্যে কাউকে এখানে রাখা যাবে না ৷ যত কম খরচে বিপন্ন মানুষ এখানে থাকতে পারেন তার চেষ্টা করা হয়েছে । এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি মনোরঞ্জনও থাকবে ৷

Intro:মালদা, ৯ ফেব্রুয়ারিঃ বৃদ্ধাশ্রম। নামটা শুনতেই প্রতিটি অভিভাবকের বুকে এক অদ্ভুত যন্ত্রণা দেখা দেয়। শেষ জীবনে এমন দিন কেউ দেখতে না চাইলেও এখনও সমাজে প্রয়োজন এই বৃদ্ধাশ্রমের। মালদা জেলায় প্রথম বৃদ্ধাশ্রম হতে চলেছে পুরাতন মালদার মাধাইপুরে৷ সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অফ মালদা নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগেই শেষ বয়সে আশ্রয় পেতে চলেছেন ব্রাত্য ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। রবিবার ‘বেলাশেষে’ বৃদ্ধাশ্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল৷ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ জেলার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।Body:বেলাশেষে নামক এই বৃদ্ধাশ্রমে প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও দুটি ডরমিটারি (পাঁচজন থাকার ব্যবস্থা থাকবে) তৈরি করা হবে৷ পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির শৌচাগার থাকবে বৃদ্ধাশ্রমে৷ দুপুরে ও রাতে আমিষ ও নিরামিষ খাবারের সঙ্গে থাকবে প্রাতরাশ ও বিকেলের টিফিন৷ এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হলে কোনও দম্পতিকে এককালীন সাড়ে চার লক্ষ টাকা, একক ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ টাকা দান হিসাবে ট্রাস্টে জমা করতে হবে৷ এর সঙ্গে প্রতি মাসে মাসিক খরচের টাকা জমা করতে হবে৷ অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে৷ প্রথম পর্যায়ে এখানে ২০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷ এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক হতে গেলে এককভাবে বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধার বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে৷ তবে দম্পতির ক্ষেত্রে বয়সের সীমা খানিকটা হেরফের হতে পারে৷ স্থায়ী আবাসিকদের দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘর ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে জমা দিতে হবে মাথাপিছু সাত হাজার টাকা (দম্পতির ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা)৷ ডরমিটারির ক্ষেত্রে সেই খরচ মাসে সাড়ে ছয় হাজার টাকা৷ তবে আশ্রমে প্রবেশের সময় সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে৷Conclusion:সংগঠনের পক্ষে আইএমএ-এর মালদা জেলা সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া আর্থিক অনুদানের ওপর ভিত্তি করেই এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ার পরিকল্পনা৷ প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হবে৷ কিছু ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিলেও একেবারে বিনামূল্যে কাউকে এখানে রাখা যাবে না৷ যত কম খরচে বিপন্ন মানুষ এখানে থাকতে পারেন তা চেষ্টা করা হয়েছে। এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের থাকা-খাবারের ব্যবস্থার পাশাপাশি মনোরঞ্জনের বিষয়টিও থাকবে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.