ETV Bharat / state

মেডিকেল কলেজের হস্টেলে কঙ্কালের হাড় যখন মশারির দড়ি !

মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। অথচ, মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি নেই হস্টেলে। অগত্যা অ্যানাটমির জন্য রাখা কঙ্কালের হাড়েই মশারি বেঁধে রাত কাটালেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলে।

কঙ্কালের হাড় যখন মশারির দড়ি
author img

By

Published : Feb 25, 2019, 2:28 PM IST

কলকাতা ও বর্ধমান, ২৫ ফেব্রুয়ারি : মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। অথচ, মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি নেই হস্টেলে। অগত্যা অ্যানাটমির জন্য রাখা কঙ্কালের হাড়েই মশারি বেঁধে রাত কাটালেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলে।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র কৌসর শেখ। ২৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাতে মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি না পেয়ে শেষমেশ কঙ্কালের হাড়ে মশারি বেঁধে রাত কাটিয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিকেলে এই সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, "যখন আপনি মশারি টাঙাতে বাধ্য কিন্তু হস্টেলে দড়ি নেই। যার হাড় সে না জানি কী ভাবছে এসব দেখে।"

তবে এই বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আজ রবিবার দড়ি কিনে নিয়ে এসেছি। মজার জন্য গতকাল হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছিলাম। মজার জন্যই ফেসবুকে পোস্ট করেছি। তবে হস্টেলে কোনও অব্যবস্থা নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও কোনও অভিযোগ নেই।" এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শুভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নিছকই মজার জন্য এইভাবে হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছে। বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মজা করি। কখনও তো নিজেরাই রোগী বা ডাক্তার সাজি।"

undefined

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা MSVP উৎপল দাঁ বলেন, "এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলতে পারবেন।"

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবিষয়ে হাসতে হাসতে বলেন, "মজার জন্য কে যে কখন কী করে বসে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই।" যদিও, AIDSO-র মেডিকেল ফ্রন্টের স্থানীয় নেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, "অন্যান্য মেডিকেল কলেজের হস্টেলগুলির মতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলেও বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থা রয়েছে। সময়মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ুয়াদের থাকতে হয়।" তবে এই প্রসঙ্গে স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শুভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বছর দেড়েক আগে হস্টেলে যে ধরনের অব্যবস্থা ছিল, সেখান থেকে এখন উন্নতি হয়েছে। আগে হয়ত মাসে একদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হত। এখন প্রতি সপ্তাহে হয়। তিনি আরও বলেন, "লোকবলের অভাব অবশ্য রয়েছে। তবে বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে।"

কলকাতা ও বর্ধমান, ২৫ ফেব্রুয়ারি : মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। অথচ, মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি নেই হস্টেলে। অগত্যা অ্যানাটমির জন্য রাখা কঙ্কালের হাড়েই মশারি বেঁধে রাত কাটালেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলে।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র কৌসর শেখ। ২৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাতে মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি না পেয়ে শেষমেশ কঙ্কালের হাড়ে মশারি বেঁধে রাত কাটিয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিকেলে এই সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, "যখন আপনি মশারি টাঙাতে বাধ্য কিন্তু হস্টেলে দড়ি নেই। যার হাড় সে না জানি কী ভাবছে এসব দেখে।"

তবে এই বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আজ রবিবার দড়ি কিনে নিয়ে এসেছি। মজার জন্য গতকাল হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছিলাম। মজার জন্যই ফেসবুকে পোস্ট করেছি। তবে হস্টেলে কোনও অব্যবস্থা নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও কোনও অভিযোগ নেই।" এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শুভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নিছকই মজার জন্য এইভাবে হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছে। বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মজা করি। কখনও তো নিজেরাই রোগী বা ডাক্তার সাজি।"

undefined

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা MSVP উৎপল দাঁ বলেন, "এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলতে পারবেন।"

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবিষয়ে হাসতে হাসতে বলেন, "মজার জন্য কে যে কখন কী করে বসে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই।" যদিও, AIDSO-র মেডিকেল ফ্রন্টের স্থানীয় নেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, "অন্যান্য মেডিকেল কলেজের হস্টেলগুলির মতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলেও বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থা রয়েছে। সময়মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ুয়াদের থাকতে হয়।" তবে এই প্রসঙ্গে স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শুভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বছর দেড়েক আগে হস্টেলে যে ধরনের অব্যবস্থা ছিল, সেখান থেকে এখন উন্নতি হয়েছে। আগে হয়ত মাসে একদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হত। এখন প্রতি সপ্তাহে হয়। তিনি আরও বলেন, "লোকবলের অভাব অবশ্য রয়েছে। তবে বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে।"

Intro:কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি: মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। অথচ, মশারি বাঁধার জন্য দড়ি খুঁজে পাননি এক ডাক্তারি পড়ুয়া। শেষ পর্যন্ত এ্যানাটমী শিক্ষার জন্য নিজের কাছে গচ্ছিত মানুষের পায়ের একটি হার দিয়েই বেঁধে ফেললেন মশারি। শনিবার রাতে এ ভাবেই ঘুমিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা বর্ধমান মেডিকেল কলেজের।Body:শনিবার রাতে এভাবে ঘুমিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের যে ছাত্র তাঁর নাম কৌসর শেখ। এই মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র তিনি। আর, এই ঘটনার বিষয়টি রবিবার বিকালে ফেসবুকে পোস্ট করেন এই ডাক্তারি পড়ুয়া। সেখানে তিনি লেখেন, "যখন আপনি মশারি টাঙ্গাতে বাধ্য কিন্তু হস্টেলে দড়ি নেই। যার হার সে না জানি কী ভাবছেন এসব দেখে।" সত্যিই কি দড়ি নেই হস্টেলে? বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ওই হস্টেলে অন্য আরও নানা অব্যবস্থাও রয়েছে? এ সব বিষয়ে ওই ছাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "মশারি বাঁধার জন্য দড়ি ছিল না। আমার কাছে এ্যানাটমী শিক্ষার জন্য যে হাড় ছিল, সেখান থেকে থাই-এর হাড়টি দিয়ে মশারি বেঁধেছিলাম শনিবার রাতে।"

একই সঙ্গে তিনি অবশ্য বলেন, "আজ রবিবার দড়ি কিনে নিয়ে এসেছি। মজার জন্য গতকাল হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছিলাম। মজার জন্যই ফেসবুকে পোস্ট করেছি।" তিনি জানিয়েছেন, হস্টেলে সেভাবে কোনও অব্যবস্থা নেই। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রয়েছে এই হস্টেল, তাও নয়। এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ পরিচালিত স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শুভ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "মজার জন্য এভাবে হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছে। বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মজা করি। কখনও কখনও নিজেরাই আমরা কেউ রোগী কেউ ডাক্তার সেজে মজা করি।" এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) উৎপল দাঁ-য়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে আমি জানি না। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলতে পারবেন।"

এই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল হাসতে হাসতে বলেন, "মজার জন্য কখন যে কে কী করে বসে, তার কোনও ঠিকানা নেই।" যদিও, AIDSO-র মেডিকেল ফ্রন্টের স্থানীয় নেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, "অন্যান্য মেডিকেল কলেজের হস্টেলগুলির মত বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হস্টেলেও বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ুয়াদের থাকতে হয়।" এই বিষয়ে স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট বলেন, "বছর দেড়েক আগে হস্টেলে যে ধরনের অব্যবস্থা ছিল, সেখান থেকে এখন উন্নতি হয়েছে। আগে হয়তো মাসে একদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতো। এখন প্রতি সপ্তাহে হয়।"Conclusion:একই সঙ্গে তিনি বলেন, "লোকবলের অভাব রয়েছে। এই বিষয়টি আমাদের মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। আশা করছি আগামী দিনে এই বিষয়টি আরও উন্নত হবে।" লোকবলের খামতি থাকার বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে, এ কথা স্বীকার করে নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, "পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে হস্টেলের আবাসিকরা যাতে সচেতন হন, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিজেদের হস্টেল নিজেদেরকেই পরিষ্কার রাখতে হবে, এমন বিষয়ের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।"

____________

ছবি সংশ্লিষ্ট ছাত্রর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত

wb_kol_8002_24feb_hostel_bone_bmc_7203421

wb_kol_8003_24feb_hostel_bone_bmc_7203421

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.