কলকাতা, 17 নভেম্বর: এর আগে একাধিকবার আকস্মিক প্রয়াণের খবরে স্তম্ভিত হয়েছে কলকাতা ময়দান। অঙ্কিত কেশরীর ঘটনা আজও ভোলেনি শহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা ৷ শনিবারও ঘটে গেল তেমনই এক দুর্ঘটনা ৷ প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাঝেই হৃদরোগে প্রাণ হারালেন গোলরক্ষক কোচ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর পুরনিগমের মাঠে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের কোচিং ক্যাম্পে। 41 বছর বয়সি মৃত গোলরক্ষক কোচের নাম প্রশান্ত দে। চলতি বছরেই নতুন ক্লাবে গোলরক্ষক কোচ হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি ৷
শনিবার অনুশীলনের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁক মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গড়িয়ার বাসিন্দা প্রয়াত প্রশান্ত মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেও সতীর্থদের সঙ্গে হালকা মেজাজে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। পরামর্শ দেওয়ার মাঝেই সকলকে হতভম্ব করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে ওই অবস্থায় লুটিয়ে পড়তে দেখে ওই ক্যাম্পেরই আরেক কোচ মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ না-হওয়ায় ক্যাম্পের এক ফুটবল শিক্ষার্থীর গাড়িতে প্রশান্তকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
চিকিৎসকের চেষ্টায় অল্প সাড়া দিলেও গোলরক্ষক কোচ বিপন্মুক্ত হননি। ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টার পর চিকিৎসকরা প্রশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেহালা ইউথের প্রাক্তন গোলরক্ষক বছর কয়েক আগে দুর্ঘটনায় চোয়ালে বড়সড় আঘাত পান। তারপর কোচিংয়ে মনোনিবেশ করছিলেন প্রশান্ত ৷ গোলরক্ষকদের কোচিং কোর্সও করেছিলেন। চলতি বছর নতুন ক্লাবের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে ধীরে ধীরে ফিরছিলেন মূলস্রোতে ৷ কিন্তু যাবতীয় সম্ভাবনা আচমকাই শেষ হয়ে গেল। গড়িয়ায় বাবাকে নিয়ে তিনি থাকতেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশান্তর আকস্মিক প্রয়াণে হতবাক প্রাক্তন গোলরক্ষক অভ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, "ওর এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। কয়েকদিন আগেও কথা হল। প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে ছিল। নতুনদের দারুণ প্রশিক্ষণ দিত। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেল কয়েক মিনিটের মধ্যে। সত্যিই ভাবতে পারছি না।" ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত অর্চিষ্মান বিশ্বাস বলেন, "পুরো ঘটনাটি এতটাই আচমকা ঘটেছে যে কিছু করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। সত্যিই খারাপ লাগছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল তখনই এতবড় ঘটনা।"