কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : রাজ্য সরকার তাজপুরে জমি না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার সুমদ্র বন্দর তৈরি করতে পারছে না । গতকাল এই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ।
তাজপুরে বন্দর তৈরি নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্র
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বলেন, "রাজ্য সরকার যদি চায়, তাহলে তার মতো করে বন্দর তৈরি করতে পারে ৷ সেটা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ৷ কিন্তু আমার মনে হয় যে কোনও বন্দর তৈরি করতে গেলে, কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া সেটা সম্ভব নয় ৷ কারণ, এর সঙ্গে রেল-সহ আরও অনেক ব্যাপার জড়িত, যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীরও বোঝা উচিত একটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অংশীদারিত্বে কাজ করা উচিত ৷ অবশ্যই কেন্দ্র তাঁকে সেই প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তিনি তা রাখেননি বা রেখেছেন কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, ভাবনা-চিন্তার বিষয় ৷ তবে তার জন্য কেন্দ্র অপেক্ষায় রয়েছে ৷ অন্ততপক্ষে রাজ্য সরকারকে জায়গা দিতে হবে ৷ তার পর কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে যে সেটা কেন্দ্রের হবে বা রাজ্যের বন্দর হবে ৷ আর সেখানে কতটা সাহায্য করা যাবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী আগে সেই বিষয়ে রাজি হোন, তারপরে আমরা ভাবব ৷ তবে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বাধা আসেনি ৷ আমরা উন্নয়ন করতে চাইছি, করব ৷"
এদিকে 1 অগস্ট পানাগড় শিল্পতালুকে "বেঙ্গল মিনস বিজনেস" শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব শিগগিরই তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ শুরুর কথা জানান ৷ এর কাজে দেরি হওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন ৷
এদিন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ক্যানটিন বিল্ডিং উদ্বোধন করতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরে তিনি ও বন্দরের চেয়ারম্যান গিয়েছিলেন । এতে বন্দরের কর্মীরা ঠিকমতো খাবার পাবেন ৷ 1 কোটি টাকা খরচ করে 2900 বর্গফুটের দোতলা ঘরে এই ক্যানটিন তৈরি হয়েছে ৷ 100 জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Shantanu Thakur : বিশ্বজিৎ দাসের দলবদলকে গুরুত্ব দিলেন না কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
বন্দর নির্মাণ ছাড়া তিনি রোড কানেক্টিভিটি অর্থাৎ রাস্তার মাধ্যমে সংযোগের উপর জোর দেন ৷ তিনি জানান, 21.44 কোটি টাকা খরচে একটা রাস্তা তৈরি হয়েছে ৷ এর ফলে বন্দর পরিষেবার কাজ সহজ হবে ৷ অ্যালে রোড থেকে কাটা পুকুর পর্যন্ত দু'টি রাস্তা তৈরি হয়েছে 18.13 কোটি টাকা খরচ করে । আগামী দিনে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর ৷
2020-30 এই 10 বছর প্রধানমন্ত্রীর ভিশন মেনে, দ্বিতীয় রেল লাইন করা হচ্ছে । 128 কোটি টাকা ব্যয়ে রেল ওভার ব্রিজ করা হয়েছে রানিচকে । 138 কোটি ব্যয়ে সাগরে 2টি ফ্লোটিং ক্রেন করা হয়েছে ৷ আরও কিছু প্রজেক্টের কাজ চলছে । মোট 525 কোটি টাকার সামগ্রিক প্রকল্প ।
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্বের উন্নয়নে জোর দিয়েছেন । স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চল অবহেলিত থেকেছে । 2014 থেকে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজের 111টি বড় প্রকল্পের 20টি উত্তর পূর্বে করা হয়েছে । চিকেন নেক করিডোর ছেড়ে বাংলাদেশ থেকেও আমরা জলপথ করছি । শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের উন্নতিতেই এই কাজ সব ৷"