কলকাতা, 23 এপ্রিল: কোনওরকম স্বাস্থ্য বা আর্থিক নিরাপত্তা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দিল কয়েকটি হলুদ ট্যাক্সি। বিষয়টি জানিয়েছেন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমলকুমার গুহ ।
প্রথম পর্যায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ্য পরিবহন দপ্তরের নির্দেশানুসারে জরুরি পরিষেবা দিতে শুরু করে কিছু সংখ্যক বাস ও ট্যাক্সি । বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমলকুমার গুহ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে পরিবহন দপ্তর ও মোটর ভেহিকেলসে বারবার এই বিষয়টি জানিয়েছি । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । যে সমস্ত ট্যাক্সি চালক ও কর্মী এই মুহূর্তে জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁদের কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হয়নি । বেশিরভাগ ট্যাক্সি চালক SSKM, RG কর, ID হাসপাতাল, নীলরতন সরকারসহ আরও অন্যান্য হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন । এমনকী তাঁদের ট্যাক্সিগুলি একবারও নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ় করা হয়নি । এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও চালকের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাঁর পরিবারের কাছে আমি কী জবাবদিহি করব? তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে সমস্ত গাড়ি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, "এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মধ্যে বহু ট্যাক্সি চালক গাড়ি নিয়ে পরিষেবা দিতে রাজি ছিলেন না একেবারেই । আবার বহু ট্যাক্সি মালিক গাড়ি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না । তবে জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে চালকদের বারবার অনুরোধ করার পরেই কয়েকজন চালক জরুরি পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের কোনওরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ।" যদিও এর আগে পরিবহন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, যে সমস্ত ট্যাক্সি চালক এই সময় জরুরি পরিষেবা দেবেন তাঁদের পাঁচ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হবে । এই বিষয়ে বিমলবাবুর দাবি , ট্যাক্সি মালিক ও চালকদের শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে । এই বিষয়ে কোনওরকম লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয়নি । এখনও সরকারের তরফে কোনওরকম নির্দেশিকা জারি হয়নি ।
অপরদিকে পাবলিক মোটর ভেহিকেলস ডিপার্টমেন্টের এক আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ বলে জানান ।