কলকাতা, 21 মার্চ: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধরনায় বসতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ মঙ্গলবার তিনি এই ঘোষণা করেছেন ৷ এদিন দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ভুবনেশ্বর রওনা হওয়ার আগে তিনি এই নিয়ে ঘোষণা করেন ৷ আর তার পরই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে ৷ কংগ্রেস থেকে সিপিএম এবং বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন (Opposition Leaders Slams Mamata Banerjee) ৷
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ধরনাস্থল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুয়ায়ী, কলকাতায় রেড রোডের ধারে আম্বেদকরের যে মূর্তি রয়েছে, সেখানেই এই ধরনা হবে ৷ কিন্তু সুজনের প্রশ্ন, দিল্লিতে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সামনে কেন ধরনায় বসছেন না মুখ্যমন্ত্রী ? অন্যদিকে এই নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে কংগ্রেসের (Congress) আব্দুল মান্নানের দাবি, ধরনায় বসা মমতার স্বভাব ৷ আর বিজেপির রাহুল সিনহা (BJP Leader Rahul Sinha) বলছেন যে বিপদে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য: মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দাবিতে লড়াই তো করবেন ৷ যদিও উনি রাজ্যের দাবিতে লড়াইকে কোনওদিন সমর্থন দেননি ৷ বরং বামফ্রন্ট সরকার যখন ছিল, তখন রাজ্যকে যাতে টাকা না দেওয়া হয়, এই উমেদারি উনি করেছিলেন ৷ কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য যদি উনি বসেন, তাহলে আম্বেদকরের মূর্তি কেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সামনে বসা উচিত ছিল ৷ কেন দু’দিন ধরনায় বসবেন? কেন 12-14 দিন নয় ? রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে এর পিছনে ৷
কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য: দিশেহারা হয়ে গিয়েছে । ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ধরনায় বসা স্বভাবে আছে। রাজীব কুমারের সময় ধরনায় বসেছিলেন । উনি বহুবার ধরনায় বসেছেন । এত দুর্নীতি । রোজ রোজ কোটি কোটি দুর্নীতির টাকা উদ্ধার হচ্ছে । সাধারণ মানুষের সামনে সব প্রকাশ পাচ্ছে । যে কারণে নজর ঘোরাতেই এসব করতে চাইছেন । দিশেহারা হয়ে যাওয়ার কারণেই ধরনায় বসতে চাইছেন ৷
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য: বিপদের সময়ে মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে ৷ কী করবে বুঝে উঠতে পারে না ৷ একদিকে তদন্ত চলছে, গ্রামগঞ্জে দিদির দূতরা বিক্ষোভ মুখে পড়ছেন ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে যে সব চাকরি চুরি গিয়েছে ৷ এর পর তদন্ত তো পার্থর ওপরে চলে আসবে ৷ সেই কারণে ধরনা ৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে 29-30 মার্চ ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী