কলকাতা, 21 মে : ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ আর জল্পনা মতো এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার পদত্যাগের পরে শোভনদেব বলেন, দলনেত্রীকে আসন ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন । পাশাপাশি জানা গিয়েছে, খড়দহ বিধানসভা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷
এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে যখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পদত্যাগের বিষয়ে শোভনদেব নিজে জানান, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন তিনি। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি সন্তুষ্ট ৷ তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেন ৷ এর পিছনে কোনও প্ররোচনা ছিল না ৷ আমি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলাম ৷"
উল্লেখ্য, কলকাতা পৌরসভার 73 নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট । এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি । এবার মমতা ভাবানীপুর থেকে প্রার্থী না হলেও, তিনি তাঁর বহু পরিচিত, দলের অন্যতম বিশ্বস্ত সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এখান থেকে প্রার্থী করেন । তিনি নির্বাচনে বিজেপি তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন, কাটল না জট, 5 দিন ধরে রাজ্যজুড়ে নারদ-নারদ
তবে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে যে ইস্তফা দিতে হতে পারে সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল ৷ কারণ নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বেশ কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিততে হবে ৷ তবে জল্পনা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন ৷ কারণ বিধানসভা ভোটের আগেই ওই কেন্দ্রের প্রার্থী কাজল সিনহা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান । তবে আজ শোভনদেবের ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর সেক্ষেত্রে জানা গিয়েছে খড়দহ বিধানসভা থেকে দাঁড়াতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷